নোংরা পরিবেশের অক্টোপাসে বন্দি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

0

 

বিএম আসাদ ॥ নোংরা পরিবেশের অক্টোপাশে আটকে পড়েছে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। ভেতরে বাইরে সব জায়গাতেই বিরাজ করছে নোংরা পরিবেশ। যা মানুষে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের সুস্থ থাকার জন্যে প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত নির্মল পরিবেশ। আর অসুস্থ রোগীদের সুস্থতা লাভের জন্যে হাসপাতালে প্রয়োজন আরো পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। কিন্তু যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেই সেই পরিবেশ। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের চতুর্দিকে বনজঙ্গল ও ময়লা আবর্জনাময় পরিবেশ বিরাজ করছে। যা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেই। এবার হাসপাতাল ভবনটিও ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। ওয়ার্ডে কর্মরত স্বাস্থ্য জ্ঞানহীন কর্মচারীরা নির্দিষ্ট স্থানে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেলেন না। তারা পরিত্যক্ত স্যালাইন ব্যাগ, তুলা, গজ. ব্যান্ডেজ ওয়ার্ডের জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেন। ফলে এসব জিনিসপত্র দেয়ালে ও আশেপাশে আটকে থাকে। এসব পরিত্যক্ত জিনিসপত্র বৃষ্টির পানিতে পচে ভবনের প্লাস্টার ও স্থায়ীত্ব নষ্ট করছে। নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য। এতে করে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটির সৌন্দর্য রক্ষায় লাখ লাখ টাকা করে রং ও সংস্কার করা হয়ে থাকে। তবে হাসপাতালের কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতা ও স্বাস্থ্যসম্মত জ্ঞানের অভাবে ভবনটি এভাবে নোংরা হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের মেঝে, দরজা, জানালার কাঁচ এবং গ্রিল পরিষ্কার করা হয় না। ময়লা মরিচা, পড়ে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকারি, আউট সোর্সিং ও স্বেচ্ছাসেবক নামে অর্ধশতাধিক কর্মচারী রয়েছে। সরকারি কর্মচারি রয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এসব কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও ভাতা বাবদ লাখ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে প্রতি মাসে। অথচ, হাসপাতাল ভবনটির যথাযথ সংরক্ষণের ব্যাপারে তাদের নজর নেই। ওয়ার্ডেও রয়েছে নানা সমস্যা।
সূত্র জানিয়েছেন, হাসপাতালের কর্মকর্তা, সেবিকা ও কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত ল্যাট্রিন থাকে পরিষ্কার ঝকঝকে। সুইপার-ক্লিনারা মনে করে নির্ধারিত ওই ল্যাট্রিন পরিষ্কার করলেই তাদের দায়িত্ব শেষ। তাই ওয়ার্ডের রোগীদের জন্য নির্ধারিত ল্যাট্রিন-বাথরুম ঠিকমতো পরিষ্কার করে না। আবার অফিস থেকে এসব ল্যাট্রিন বাথরুম পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজন মত ফিনাইল ও অন্যান্য উপকরণ তার পরিমাণ কম। এসব কারণে ওয়ার্ডের বাথরুম, ল্যাট্রিন সব সময় থাকে ময়লা ও নোংরা। ল্যাট্রিনে ভাল বদনা নেই। পানির ট্যাব বেশিরভাগ ভাঙা। বাথরুমে রোগীরা গোসল করতে পারে না। নানা সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের জন্যে মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। বিষয়টি হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আব্দুস সামাদকে সরেজমিনে দেখানো হয়। এ সময় তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন।