বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস আজ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আজ ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ব’য়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি এবং সব স্বাস্থ্যকর বার্ধক্যের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি’।
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে।
প্রতিবছরের মতো এ বছরেও দিবসটি উপলক্ষে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সম্প্রচারিত হবে। এছাড়া রোড-শো ও আলোচনা সভাসহ বিস্তারিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ডিজিটাল সংযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সবাইকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন।
১৭ মে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অনন্য দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি বিশেষ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী ছয় বছরের লড়াই, দুঃখ-কষ্ট, নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না বলে উল্লেখ করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে থেকে প্রতিবছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।