সত্যিই কি ইউক্রেনে ‘পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে’ রুশ সেনারা?

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার ৪৩তম দিনে গড়িয়েছে রুশ এই সামরিক অভিযান। বিগত ৪২ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা। অবশ্য, নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী প্রতিরোধও গড়ে তুলেছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে সম্প্রতি রাজধানী কিয়েভ ও এর পাশ্ববর্তী এলাকা এবং চেরনিহিভ ছাড়তে বাধ্য হয় রুশ বাহিনী। এদিকে, ইউক্রেন অভিযানে অংশ নেওয়া ৬০ রুশ সেনা পুতিন সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনেও এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এসব গণমাধ্যমের খবরের নিরপেক্ষতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমের দ্বারা। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৬০ জন রুশ প্যারাট্রুপার ইউক্রেনে বিদ্রোহ করেছে এবং যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উত্তর রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সদর দফতর ‘পসকভ’ থেকে আসা এসব রুশ প্যারাট্রুপারকে জেল দেওয়া হতে পারে। যুদ্ধ করতে অস্বীকারী এসব সেনাদের অপমানজনকভাবে বেলারুশে পসকভের ঘাঁটিতে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সেনাকে ইতোমধ্যে ‘কাপুরুষ’ আখ্যা দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদের সম্ভবত জেলসহ রাশিয়ান কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে হবে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু তার একজন ডেপুটিকে অবাধ্য এসব সেনাদের সামলাতে পসকভের কাছে পাঠিয়েছেন বলেও খবরে দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউক্রেনের দাবি, ওইসব সৈন্য অভিজাত প্যারাট্রুপার ছিল, তবে বিষয়টি এখনও সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। যদিও পসকভ রাশিয়ার সবচেয়ে অভিজাত বিমান বাহিনীর প্রধান সদর দফতর। তবে সত্যিই এসব রুশ সেনা ইউক্রেনে বিদ্রোহ করেছে কি না অথবা যুদ্ধ করতে অস্বীকার করতে করেছে কি না তা বলিষ্ঠভাবে দাবি করতে পারেনি কোনও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতেই এমন দাবি করা হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
সূত্র: ডেইলি মেইল