টিপ পরায় হেনস্তা: কনস্টেবল বরখাস্ত হওয়ায় সেই শিক্ষিকার স্বস্তি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজশিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযুক্ত কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠন করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ড. লতা সমাদ্দার। তিনি গণমাধ্যম, পুলিশ প্রশাসন ও তার প্রতিবাদে একাত্মতা পোষণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) তিনি এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
লতা সমাদ্দার বলেন, ‘ঘটনার পর লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। এরপর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমার পাশে থাকার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকেও ধন্যবাদ। অভিযোগের পর তারা দ্রুত অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছেন এবং চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।’ এর আগে সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পুলিশ প্রটেকশন বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এবং তেজগাঁও বিভাগের একজন সহকারী কমিশনারকে (এসি) অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
গত ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান ওই ব্যক্তি। পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পরই দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চিহ্নিত করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। একটি ঘটনা ঘটেছে এবং তিনি তা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে, তার তদন্ত চলছে।’