যশোরের ঝিকরগাছায় সুমাইয়া হত্যার প্রধান আসামী ঘাতক বাপ্পিসহ ২ জন আটক

0

তরিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর)॥ যশোরের ঝিকরগাছায় গৃহবধু সুমাইয়া আক্তার হত্যার প্রধান আসাামী আল আমিন হোসেন বাপ্পিসহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঝিকরগাছা থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের নিকট থেকে একটি মোটরসাইকেল, ২টি মোবাইল ও একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে। প্রেমিক বাপ্পির সাথে সুমাইয়া মাদকাসক্ত হয়ে একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলআমিন বাপ্পি জানিয়েছে। জানাগেছে, গত ২৫ মার্চ উপজেলার বামনআলী-চাঁপাতলা ফকিরটিকে মাঠে অজ্ঞাত এক মহিলার গলাকাটা লাশ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ লাশটিকে উদ্ধার করে এবং পরবতৃীতে পরিচয় সনাক্ত করে। শার্শার বরুজবাগান গ্রামের রেজাউল ইসলামের কন্যা সুমাইয়া আক্তার (২৭)। নিহতের পিতা রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে সুমাইয়ার প্রেমিক আলআমিন বাপ্পিকে সন্দেহ করে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৫, তারিখ-২৫/০৩/২০২২ ইং। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় উৎঘাটনে ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন জেরা পুলিশ সুপার। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিকরগাছা থানার এসআই মেজবাউর রহমান ও ডিবির এসআই শামীমের নেতৃত্বে সোমবার ভোর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন বংশীপুর এলাকা থেকে সীমান্তবর্তী ভারতে পালানোর সময় ঘাতক প্রেমিক আলআমিন বাপ্পিকে আটক করা হয়। আটক বাপ্পির দেয়া তথ্য মতে হত্যার মিশনে ব্যবহৃত মটরসাইকেল লুকিয়ে রাখার সাহায়তাকারি পাশর্^বর্তী মণিরামপুর উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে জুয়েলকে আটক করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে সুমাইয়ার সাথে প্রেমজ সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আলআমিন বাপ্পি । এরপর ২০১৫ সালে বাপ্পি বিদেশে চলে গেলে সুমাইয়ার বিয়ে হয় শার্শা থানার লক্ষনপুর সাকিনের আইয়ুব হেসেনের সাথে। সেই ঘরে তাদের ১ টি পুত্র সন্তান হয়। ২০১৮ সালে বাপ্পি দেশে ফিরে এসে পর্ণরায় সুমাইয়ার সাথে ুেযাগাযোগ করে। বছর খানেক আগে সুমাইয়া ঘর সংসার ছেড়ে বাপ্পির সাথে চলে আসে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে কয়েকবার মিমাংসা হয়ে ফিরে গেলেও পুনরায় চলে এসে স্বামী-স্ত্রীর মত যশোর শহরে ভাড়া বাসায় বেশ কিছুদিন বসবাস করে তারা। সুমাইয়া মাদকাসক্ত হয়ে একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে দাবী করে বাপ্পি। যে কারনে রাগে ক্ষোভে সুমাইয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে গত ২৪ মার্চ সুমাইয়াকে ডেকে নিয়ে বেনাপোল পুটখালী এলাকায় গিয়ে ফেনসিডিল সেবন করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রাত ১০টার দিকে চাঁপাতলা ফকিটটিকে মাঠে নিয়ে হাতের রগ কেটে ও জবাই করে হত্যা করে সুমাইয়াকে। আটককৃত বাপ্প্ িও জুয়েলকে সোমবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যেমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ঝিকরগাছা থানার াফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত জানিয়েছেন।