দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম গ্লোবাল সার্টিফাইড রিটেলার ‘স্বপ্ন’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রথম বারের মতো দেশের জনপ্রিয় রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’ পেয়েছে গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট। সম্প্রতি সার্বিক পরীক্ষণ ও নিশ্চিতকরণ সম্পন্ন করে অডিট কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই স্বপ্ন’র হাতে আসে এ সনদটি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রিটেইল ক্যাটাগরিতে ‘স্বপ্ন’ প্রথম ও একমাত্র গ্লোবাল গ্যাপের মেম্বার। প্রথম বারের মতো বাংলাদেশি কোনো কোম্পানি এমন সার্টিফিকেট অর্জনের গৌরব অর্জন করলো।সোমবার (২৮ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী যত ধরনের মান বা স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা দরকার সেগুলো নিশ্চিতকরণে সংস্থাটি (গ্লোবাল গ্যাপ) কাজ করে থাকে। ফুড সেফটি বা খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক পর্যবেক্ষণ শেষে কৃষিজাত পণ্য বা অ্যাগ্রিকালচার প্রোডাক্টের জন্য গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তবে তারও আগে এসজিএস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড কয়েকটি ধাপে অডিট করে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বপ্নর হাতে এসেছে প্রত্যাশিত গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট।
এ বিষয়ে স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, স্বপ্ন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম গ্লোবাল সার্টিফাইড রিটেলার। সনদপ্রাপ্তি অত্যন্ত আনন্দের ও স্বস্তির খবর। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের কৃষক বন্ধুদের, ইউএসএইড ও গ্লোবাল গ্যাপকে এ অর্জনে সহযোগিতা করার জন্য। ৭টি সার্টিফাইড পণ্য নিশ্চিত করে যে স্বপ্ন নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বপ্নের প্রতি আস্থা রাখার জন্য সব ক্রেতার প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি
স্বপ্নর হেড অব মার্কেটিং মাহাদী ফয়সাল বলেন, কীটনাশক বা আগাছানাশক সম্পর্কে আমাদের মধ্যে একটি নেতিবাচক ও ভুল ধারণা রয়েছে। চাষিরা এসবকে বিষ বলে। অনেকে আবার এ ভ্রান্ত ধারণাকে পুঁজি করে ব্যবসা করে ও ঘোষণা দেয় যে তারা বিষমুক্ত সবজি বা ফল বিক্রি করছে। বাস্তবে কীট বা আগাছানাশক হলো প্ল্যান্ট মেডিসিন।
তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের কৃষক সমাজের ৭৫ ভাগই প্ল্যান্ট মেডিসিনের সঠিক প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন নন। আর সমস্যা মূলত সেখানেই। প্ল্যান্ট মেডিসিনের সঠিক প্রয়োগ ও পিএইচআই (প্রি-হারভেস্ট ইন্টারভাল) মেনে ফসল উত্তোলন করাই বিধিসম্মত। আর এটাই করে থাকি আমরা। স্বপ্ন সব সময়ই ক্রেতাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করে আসছে। এর ফলস্বরূপ সম্প্রতি স্বপ্নর হাতে এসেছে গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট।
স্বপ্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের এভিসি প্রোগ্রাম (অ্যাগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইনস) প্রজেক্টের সহায়তায় ২০১৭ সালে প্রথম গ্লোবাল গ্যাপের সঙ্গে কাজ শুরু করে। গ্লোবাল গ্যাপ হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। যেটি মূলত সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেয়।
দেশের বাইরে ইউরোপ, আমেরিকার রিটেইল চেইনশপগুলোতে গ্লোবাল গ্যাপ মেইনটেইন করা হয়। স্বপ্ন চাইলে এখন থেকে আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সাত ধরনের সবজি রপ্তানি করতে পারবে। এ বিষয়টিও গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেটে উল্লেখ আছে। অনেকদিন ধরেই সরাসরি নিজেদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকদের কাছ থেকে ‘স্বপ্ন’ কৃষিজাত পণ্য ক্রয় করছে। এর ফলে কৃষক ও ক্রেতা বা ভোক্তা উভয়েই লাভবান হচ্ছেন।