যশোরে হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া শিশু শালিখায় উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার ও শালিখা সংবাদদাতা ॥ যশোর উপশহরস্থ শিশু হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশুপুত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকলিমা খাতুন (২১) নামে এক নারীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তিনি শতখালী এলাকার আলম শেখের স্ত্রী।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গত রোববার দুপুর ১২ টার দিকে শিশু হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় তার পিতা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার শিশুটি উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই এজাজুল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালীর একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আকলিমা খাতুন নামে এক নারীর হেফাজত থেকে চুরি যাওয়া শিশুটি উদ্ধার করেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকলিমা খাতুনকে হেফাজতে নেয়া হয়। ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকলিমা খাতুন তাদেরকে জানিয়েছেন তিনি যশোর থেকে ছেড়ে যাওয়া মাগুরাগামী একটি বাসের যাত্রী ছিলেন। পথে বাসটি শালিখার সীমাখালীতে এসে দাঁড়ালে অজ্ঞাতনামা এক নারী গরম পানি নিয়ে আসার কথা বলে শিশুটি আকলিমা খাতুনের কোলে রেখে যান। কিন্তু অজ্ঞাতনামা ওই নারী আর ফিরে না আসায় আকলিমা খাতুন শিশুটি বাড়িতে নিয়ে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এজাজুল হক জানান, উদ্ধার হওয়া শিশুটি দুপুরেই তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উদ্ধার হওয়া শিশুটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের মেহেদী হাসান জনি ও আসমা খাতুন দম্পতির সন্তান। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ বাজারস্থ কিংস হসপিটালে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু ঠা-া ও মাথায় আঘাতজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ওইদিন দুপুরে যশোরের উপশহরস্থ শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে গত রোববার চিকিৎসক তার ছাড়পত্র দেন। এ কারণে শিশুটির পিতা মেহেদী হাসান জনি সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য দুপুরে প্রাইভেটকার ভাড়া করতে বাইরে যান। মা আসমা খাতুন ও খালা রেহেনা খাতুন ওয়ার্ডের করিডোরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। আর নানি তাসলিমা বেগম তার নাতিকে (শিশু) বেডের ওপর রেখে বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সুযোগে বোরখা পরিহিত অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী বেড থেকে শিশুটি নিয়ে আদর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কৌশলে তিনি শিশুটি সেখান থেকে চুরি করে পালিয়ে যান।