যেভাবে শেষ হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নবম দিনে গড়িয়েছে। যুদ্ধ থামা দূরের কথা এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল দখল অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের সঙ্গে মস্কোর দুই দফা আলোচনা হলেও তাতে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যুদ্ধ কীভাবে বন্ধ হতে পারে তার পাঁচটি কারণ ব্যাখ্যা করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য এই কারণগুলো তুলে ধরা হলো।
১. সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ
রাশিয়া তার সামরিক অভিযান জোরদার করেতে পারে। এতে হয়তো মারা যাবে হাজার হাজার মানুষ, পতন হবে ইউক্রেনের, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয় নিহত হবেন নতুবা পালিয়ে যাবেন এবং ইউক্রেনে মস্কোপন্থী পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে রাশিয়া। অবশ্য এর ফলাফল হবে অস্থিতিশীল এবং ভবিষ্যতের সংঘাতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
২. দীর্ঘ যুদ্ধ
দীর্ঘ যুদ্ধের সম্ভাবনাও কম নয়। দীর্ঘ যুদ্ধে হয়তো রুশ সেনারা মনোবল হারাবে এবং অপর্যাপ্ত রসদের কারণে তারা আটকা পড়তে পারে। তারা ইউক্রেনে দখল করা শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে লড়াই করতে পারে। সময়ের সাথে সাথে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ শুরু করলে ইউক্রেনের বাহিনী আরও সক্ষম হয়ে উঠতে পারে। বহু বছর পর রুশ সেনারা হয়তো দেশে ফিরে যাবে।
৩. ইউরোপীয় যুদ্ধ
পুতিন ন্যাটো জোটে না থাকা মলদোভা ও জর্জিয়ার মতো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে সেনা পাঠাতে পারেন। অথবা শুধুমাত্র ভুল হিসাব-নিকাশের কারণে উত্তেজনা ইউরোপীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরাজয়ের মুখোমুখি হলে পুতিন তার ক্ষমতা ধরে রাখতে হয়তো যুদ্ধের ব্যাপ্তি বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে পারেন।
৪. কূটনৈতিক সমাধান
ইউক্রেন ও রাশিয়া ইতোমধ্যে আলোচনার টেবিলে বসেছে। আগামী রোববার দুই পক্ষের তৃতীয় দফা বৈঠক হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পুতিন অন্তত আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে মেনে নিয়েছেন। যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে পুতিন হয়তো ভাবতে পারেন পরাজয়ের অপমানের চেয়ে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করে ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই তার জন্য কল্যাণকর হতে পারে।
৫. পুতিনকে উৎখাত
বিষয়টি অবশ্য অকল্পনীয় মনে হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পৃথিবীর রাজনীতির হালচাল বদলে গেছে। যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য বিপর্যয়কর হয়ে দেখা দিলে, বিপ্লব ঘটতে পারে। যারা পুতিনের উপকারভোগী তারা যদি মনে করেন, তিনি আর তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন না, তাহলে এই ধরনের পরিণতি অকল্পনীয় হতে পারে না। অর্থাৎ বন্ধুরাই পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে। আর পুতিনের উৎখাতের মধ্য দিয়েই হয়তো শেষ হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ।