সেই চিঠি এবং লবিস্ট বিতর্ক

0

ড. আবদুল লতিফ মাসুম
‘হিউম্যান মাইন্ড ইজ ভেরি শর্ট’। মানুষ সহজেই অনেক কিছু ভুলে যায়। ভুলে যাওয়া ভালো। এতে অনেক ক্ষতের উপশম হয়। আবার এমন কিছু আছে, যা ভুলে গেলে ক্ষতির কারণ হয়। সমাজ-সংসার কতই না বিচিত্র। কিন্তু রাষ্ট্র ও সরকারের বিবেচনা ভিন্ন। সেখানে জাতিস্বার্থই বড় কথা। অন্তত কেতাবি অর্থে এরকম বলি আমরা। দেশের অন্তস্থ ও বহিস্থ সব কিছুই দেশ-জাতি-রাষ্ট্রের স্বার্থে পরিচালিত হওয়ার কথা।
এই নীতিগত ঔচিত্যবোধের ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারো। আসলে এটি উপরি উপরি কথা। ভেতরের কথা ভিন্ন। সেখানে ক্ষমতাই সব কিছুর মাপকাঠি। অন্যায়-অসত্য, অবিচার-অনাচার ও অপরাধ-অপকর্ম সব জায়েজ হয়ে যায় ক্ষমতার স্বার্থে। যে কাজটি আজকে সিদ্ধ, কালকে সেটি অসিদ্ধ হয়ে যায় ক্ষমতার খতিয়ানে। এমনকি অসত্যও সত্য হয়ে যায় প্রচারের কুশলতায়। আমাদের রাজনীতিতে এ ধরনের বৈপরীত্যের উদাহরণ অনেক। স্বাধীনতার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। অন্যের স্বাধীনতার হরণে আমরা রক্ত নিয়েছি। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলেছি, ক্ষমতার প্রয়োজনে আবার বাকশাল গড়েছি। মৌলিক অধিকার শক্তভাবে সংবিধানে লিখেছি।
ক্ষমতার কণ্টক ভেবে তা উৎখাত করেছি। বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিনাবিচারে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর নাগরিকদের ঘাম ঝরিয়েছি। নির্বাচনের প্রাক্কালে আমরা বলেছি- বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের কথা। নির্বাচিত হয়ে বেমালুম ভুলে গেছি তা। নির্বাচনকে নির্ভেজাল করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি। সেই আমিই ক্ষমতাকে নিশ্চিত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছি। নীতির কথা জোরেশোরে বলেছি। কার্যত নীতিকে দুর্নীতিতে পরিণত করেছি। ক্ষমতার স্বার্থে নিজে যা করেছি, অন্যে যখন তা করেছে তখন তা অবৈধ বিবেচনা করেছি। নিজ নিজ কর্মীসাধারণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সে দিন যদি আমি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে থাকি, তাহলে আজকে একই কারণে প্রদত্ত চিঠি ‘দেশদ্রোহমূলক’ হবে কেন? এ রকম হরেক দ্ব›দ্ব, দ্বৈধতা ও পরস্পরবিরোধী কর্মকাণ্ডে আকীর্ণ আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস। অতি সাম্প্রতিককালের লবিস্ট বিতর্ক সেই বৈপরীত্যকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে আমাদের জন্য। ব্যক্তিক পর্যায়ে যাকে আমরা বলি ওকালতি, তাই পাশ্চাত্যে লবিস্ট। যেকোনো নাগরিক, দল, গোষ্ঠী এমনকি রাষ্ট্র নিজ নিজ স্বার্থ সংরক্ষণ এবং প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করতে পারে। লবিস্ট নিয়োগ করে জিরোকে হিরো করা যায় না। অন্যায়কে ন্যায় করা যায় না। তবে আইন-কানুন, রীতি-রেওয়াজ অনুযায়ী বিষয়টিকে নিজ অনুক‚লে ব্যাখ্যা করা যায়। এটি অনেকটা আমাদের তদবির সংস্কৃতির মতো। সেটি তখনই অন্যায় যখন হিরোকে জিরো করার চেষ্টা করা হয়। যখন অন্যায়-অসত্যকে শোভন মোড়কে উপস্থাপন করতে চায়। আর নিজ নিজ আইনানুগ অধিকার বৈধ করার জন্য তা একেবারেই সিদ্ধ। সেই ধারাবাহিকতায় দল বা রাষ্ট্র যখন আইনানুগভাবে, নিয়মতান্ত্রিকতার মাধ্যমে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা চায় তা অবশ্যই সিদ্ধ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লবিস্ট বিতর্ক বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে আন্দোলিত হচ্ছে। এখন এটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার বনাম বিরোধীদল বিতর্ক। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ বিতর্কে গণমাধ্যম গরম হয়ে উঠে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। আর এতে তারা খরচ করেছে ৪০ লাখ ডলারেরও বেশি। তার ভাষায় নিজের দেশের সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ অন্যায় ও অনৈতিক। অন্য একজন মন্ত্রী বললেন, এটি দেশদ্রোহের শামিল। জাতীয় সংসদেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সরকার প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে তার ভাষায়- জামায়াত-বিএনপি তিনটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। আমরা আগেই বলেছি, লবিস্ট নিয়োগ অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু সরকারি দলের নেতারা নিজেদের লবিস্ট নিয়োগ সম্পর্কে প্রাথমিক অবস্থায় সত্য গোপন করার চেষ্টা করেন। লবিস্ট নিয়োগ পাশ্চাত্যে যেহেতু একটি খোলামেলা বিষয়, সেহেতু সেখানে তত্ত¡ ও তথ্য পাওয়া কঠিন কিছু নয়। বিএনপির লবিংয়ের খরচের বয়ান মন্ত্রী মহোদয় সংসদে প্রকাশ করলেও নিজেদের কত খরচ হয়েছে সেটা বলেননি। বিএনপি নিজের গরজেই আওয়ামী তথ্য প্রকাশ করে। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে অভিহিত করে। বিএনপির শীর্ষ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যখন আমেরিকা থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, যখন বাংলাদেশ গণতন্ত্রের সম্মেলনে দাওয়াত পায় না, তখন এ কথাগুলো উঠছে। তিনি দাবি করেন, নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ বছর ধরে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। একটি সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানান। বিএনপি স্থায়ী কমিটির আহূত ওই সংবাদ সম্মেলনে তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৫ সালে একটি গণমাধ্যম কোম্পানিকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ করে। এর আগে ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় আল কালাদ অ্যান্ড ফে ফার্মকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের তরফ থেকে লবিস্ট নিয়োগ করে। সেখানে আওয়ামী লীগ ১২.৫ লাখ ডলার ওই কোম্পানিকে দেয়। খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, এটা জনগণের জন্য দুঃখজনক যে, এই অবৈধ নিপীড়নকারী সরকার তাদের নির্মম নির্যাতন, হত্যা, গুম ও রাজনৈতিক অধিকার হরণের অন্যায় ঢেকে রাখার জন্য অর্থ ব্যয় করেছে। জনাব মোশাররফ ওই সংবাদ সম্মেলনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বাক্ষরিত চুক্তিনামার কিছু তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন। তিনি আরো তথ্য দেন যে, জয় অনেক বছর আগে থেকে বিজিআর নামের অন্য আরেকটি লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করে রেখেছিল। ওই ফার্মের নাম ফিল্ডল্যান্ডার। ওই ফার্মকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৪০ হাজার ডলার দেয়া হয়। এভাবে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করে খন্দকার মোশাররফ মন্তব্য করেন, কেঁচো খুঁড়তে খুঁড়তে অনেক বড় বড় সাপ বেরিয়ে আসবে। এর প্রতিউত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তথ্য দেন, বিএনপি কমপক্ষে ৩.৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে। তিনি এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে গত তিন মেয়াদে কোনো ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়নি। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশের তথ্য-প্রমাণাদি এবং বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা প্রতিহত করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে একটি গণমাধ্যমকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে বিএনপি মহাসচিব তার প্রদত্ত বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়ার যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সেটি মিথ্যাচার। ‘আপনারা দেখুন ওই চিঠি কাকে লেখা হয়েছিল এবং চিঠির বিষয়বস্তু কী ছিল? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার। সব ব্যক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ভ্যানগার্ড। আর তাই বিএনপি তার আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সমর্থন চায়। মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ চায়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশী-বিদেশী অংশীদারদের এই সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতে চায়। বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়। মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।’ তিনি আরো বলেন, একজন প্রবাসী বাংলাদেশী কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে এই সরকার।
ফখরুল স্পষ্ট করেন, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়। ওই পদক্ষেপকে নৈতিক সমর্থনের দায়িত্ব বাদে অন্য কোনো দায়দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। তবে বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসীদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের দেশপ্রেমিক পদক্ষেপকে বিএনপি সাধুবাদ জানায় এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকার ও বিরোধীদলের এই বাগযুদ্ধ চলছে। প্রায় প্রতিদিন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও নেতা-নেত্রীরা বিষোদ্গার করছেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে চিঠিদাতাদের বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দেশের বিরুদ্ধে, দেশকে সাহায্য দিতে নিষেধ করে, সাহায্য দিলেও সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিদেশে চিঠি দেয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবের বিচার হওয়া উচিত, বিএনপির বিচার হওয়া উচিত।’ সরকারের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সরকার নিজ দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করার জন্য, রফতানি-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য পিআর অথবা লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এই বিতর্ক থেকে স্পষ্ট যে, লবিস্ট নিয়োগ একটি আইনানুগ প্রক্রিয়া। পাশ্চাত্যে এর ব্যবহারিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ওই বিতর্ক ছাপিয়ে এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম মানবাধিকার রক্ষায় যে চিঠিটি দিয়েছিলেন তা মুখ্য হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই তথাকথিত অপরাধে বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এই চিঠিটি যখন আলোচনায় এসেছে তখন দেশের বুদ্ধিজীবী মহল অনুরূপ আরেকটি চিঠির কথা মনে করেছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তখনকার সংসদীয় বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা স্বস্বাক্ষরে দেশ ও বিদেশের ক‚টনৈতিক মহলে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠির ভাষা, বক্তব্য ও আবেদনের সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিঠির অনেকাংশে মিল রয়েছে। ওই সময়ে চিঠিটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। চিঠিটি হুবহু পত্রিকায় প্রতাশিত হয়। এর নিন্দা করে সম্পাদকীয় পর্যন্ত লেখা হয়। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ ওই সময়েও বিএনপির মতো সরকারবিরোধী লবিং করে দেশে দেশে। এমনকি প্যারিসে বাংলাদেশের সাহায্যদাতা কনসোর্টিয়াম মিটিংয়ে আওয়ামী লবিস্টরা ‘নো এইড ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করে। লবিস্ট নিয়োগের ঘটনাবলি এবং দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দৃষ্টি আকর্ষণী বিবৃতি নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গিতে জনস্বার্থ প্রতিফলিত হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী হিসেবে নির্দিষ্ট সীমারেখায় থেকে বক্তব্য দেয়ার নৈতিক অধিকার তাদের রয়েছে। এখানে দ্রষ্টব্য এই যে, ওই ধরনের কার্যকলাপ যেন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদাকে ভ‚লুণ্ঠিত না করে। সেই সময়ে সেই চিঠি যদি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক না হয়, তাহলে আজকে কেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিঠিটি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হবে! একই যাত্রায় দুই ধরনের ফল হতে পারে না।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়