ক্যারিয়ারের শেষ আসরেই লজ্জার রেকর্ড আফ্রিদির

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, এবারের পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন শহিদ আফ্রিদি। কিন্তু আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিব্রতকর রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার, হজম করেছেন বেধড়ক পিটুনি। বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল আফ্রিদির কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস। আগের তিন ম্যাচে মাত্র ১ জয় পাওয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল দলটি। কিন্তু আফ্রিদিকে দলে নিয়েও জয়ের দেখা পায়নি কোয়েটা। বরং বিব্রতকর রেকর্ডে পরাজয়ের বড় দায় আফ্রিদিরই। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ইসলামাবাদ। জবাবে ১৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার কোয়েটা করতে পেরেছে ১৮৬ রান। ব্যাট হাতে ৮ বল খেলে ৪ রান করেছেন বর্ষীয়ান অলরাউন্ডার আফ্রিদি।
তবে এর চেয়েও বড় ক্ষতিটা হয়েছে মূলত তার বোলিংয়ে। যেখানে নিজের ৪ ওভারে ৬৭ রান খরচ করেছেন আফ্রিদি, নিয়েছেন ১টি উইকেট। পিএসএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে কোনো বোলারের এত বেশি রান খরচের রেকর্ড নেই। এতদিন ধরে রেকর্ডটি ছিল জাফর গোহারের ৬৫ রান। এখন সেই রেকর্ডটি নিজের করে নিয়ে ৬৭ রান দিলেন আফ্রিদি। তার প্রথম ওভার থেকেই আসে ১৮ রান। দ্বিতীয় ওভারে ঘুরে দাঁড়িয়ে খরচ করেন ১০ রান। পরে তৃতীয় ওভার থেকে ১৯ এবং ইনিংস ও নিজের শেষ ওভারে তিন ছয়ের মারে ২০ রান দেন আফ্রিদি। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৮টি ছক্কা ও ১টি চার হজম করেন আফ্রিদি। তার ওপর বেশিই চড়াও হয়েছেন মঈন খানের ছেলে আজম খান। ম্যাচে ২ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৩৫ বলে ৬৫ রান করেছেন আজম। এর মধ্যে আফ্রিদির বোলিংয়েই হাঁকিয়েছেন ৫টি ছক্কা ও ১টি চার।
ইসলামাবাদের ইনিংসের শেষ ওভারে ৩০ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আজম। তখন নিজের শেষ ওভার নিয়ে আসেন আফ্রিদি। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন আজম। প্রথমে দুই হাত ছড়িয়ে নিজের ফিফটি উদযাপন করেন তিনি। পরক্ষণেই দুই হাত জোর করে আফ্রিদির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন এ তরুণ। ওভারের দ্বিতীয় বলটি হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন আজম। তবে ফিল্ডার না থাকায় বেঁচে যান তিনি। পরের দুই বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে আফ্রিদিকে লজ্জার রেকর্ডটি এনে দেন আজম। চার বলে ২০ রান খরচ করে পঞ্চম ডেলিভারিটি ১১৪ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে করেন আফ্রিদি। যা ফেরাতে না পেরে বোল্ড হন আজম। অবশ্য পিএসএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান খরচের রেকর্ড গড়লেও, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির এই ৬৭ রান অনেক পেছনে। তার আগে ঠিক ৬৭ রান খরচ করা বোলার আছেন ৮ জন। এছাড়া ৪ ওভারে এর চেয়েও বেশি রান দেওয়ার নজির আছে ১৫ জন বোলারের। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ৪ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটাও এক পাকিস্তানি বোলারের দখলে। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের সুপার এইট টি-টোয়েন্টি কাপে লাহোর লায়নসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮১ রান খরচ করেছিলেন শিয়ালকোট স্ট্যালিয়নসের পেসার শারমাদ আনোয়ার।