অ্যাপলের প্রথম কম্পিউটারের দাম এখন সাড়ে ১২ কোটি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥তখনও প্রযুক্তি দুনিয়ায় রাজত্ব করতে শুরু করেনি অ্যাপল। স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক নিজের হাতেই অ্যাপল তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক দিক থেকে তাদের তৈরি সেই অ্যাপল-১ এখনকার ম্যাকবুকের পূর্বপুরুষ। এ রকম প্রায় ২০০টি কম্পিউটার সে সময় বানিয়েছিলেন তারা।
তার মধ্যেই একটি উঠেছে নিলামে। অরিজিনাল অ্যাপল কম্পিউটার, যা সেই সময়ে পরিচিত ছিল ‘চ্যাফি কলেজ’ অ্যাপল-১ নামে। কম্পিউটারটি স্টিভ জবসের বোন প্যাটি জবস এবং ড্যানিয়েল কোট জবসের বাড়িতে পরীক্ষা করেছিলেন।
স্টিভের তৈরি বাকি কম্পিটারের থেকে এটি একটু বিশেষ। কোয়া কাঠের ফ্রেমের মধ্যে রয়েছে ৪৫ বছরের পুরনো এ কম্পিউটার। এই কোয়া কাঠ খুবই মূল্যবান। ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইবেতে ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হচ্ছে, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি।
কেবলমাত্র হাওয়াই দ্বীপে পাওয়া যায় এই কাঠ। এই ডিভাইসটি জবস এবং ওজনিয়াক দ্বারা যৌথভাবে তৈরি করা ২০০ টি কম্পিউটারের মধ্যে এমন একটি যা কোম্পানির শুরু দিকে গ্যারেজের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল, পরে সেখান থেকেই ডালপালা বিস্তার করে আজ অ্যাপল পৌঁছে গেছে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গেজেট নাউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিক্রি হতে যাওয়া কম্পিউটারটির প্রস্তুত-প্রক্রিয়ার (১৯৭৬ সালে) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াকও।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই মডেলের কম্পিউটারই গ্রাহকদের কাছে বিক্রি হওয়া প্রথম অ্যাপল পণ্য। ১৯৭৭ সালে বিক্রয় বন্ধের আগে অ্যাপল-১ কম্পিউটারটি মাত্র ২০০ ইউনিট নির্মাণ করেছিল অ্যাপল। তখন এর দাম ছিল ৬৬৬.৬৬ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের মুদ্রায় যা ৫৬ হাজার টাকার মতো।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইবে জানিয়েছে, অ্যাপল-১ কম্পিউটারটির ক্রেতা মূল মালিকের ম্যানুয়াল, স্কিম্যাটিক্স, বেসিক ম্যানুয়াল, ক্যাসেট ইন্টারফেস এবং গাইডের ডিজিটাল অনুলিপি পাবেন।
মজার বিষয় হচ্ছে, স্টিভ এবং ওজনিয়াক এ কম্পিউটারগুলিকে কম্পোনেন্ট পার্টস হিসাবে বিক্রি করেছিলেন। ২০০টির মধ্যে ১৭৫ টি বিক্রি হয়েছিল ৬৬৬.৬৬ মার্কিন ডলারে। এর মধ্যে ৫০টি কিনে নিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে বাইটশপের মালিক পল টেরেল।
যখন টেরেল প্রতিটি অ্যাপল-১ কিট সম্বলিত এক একটি বাক্স পেয়েছিলেন, তখন মোটেই খুশি ছিলেন না। টেরেল কম্পিউটারের এতো টুকরো টুকরো পার্ট দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন কি করে এগুলি বিক্রি করবেন তার শপে। জবস তার আশঙ্কা দূর করে বলেন, বাইটশপ তাদের স্টোরের মধ্যে কি-বোর্ড, মনিটর এবং পাওয়ার সাপ্লাই বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারে।
কাঠের বাক্সের মধ্যে থাকা অ্যাপলের শুরুর দিনের সেই কম্পিউটারের নিলাম নিয়ে এরই মধ্যে হইচই শুরু হয়েছে। এর আগেও অ্যাপল কর্তা স্টিভ জবসের বায়োডেটা নিলামে উঠেছিল।