মিরাজের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ঢালাও ফিক্সিং কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের সরাসরি অভিযোগ না তুললেও অধিনায়কত্ব হারানোর পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সিইও ইয়াসির আলমের বিপক্ষে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজ।
তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ায় হতাশ এবং ক্ষুব্ধ মিরাজ চট্টগ্রাম ম্যানেজমেন্টের কারো কারো আচরণ সন্দেহজনক বলেও মন্তব্য করেছেন।
এক পর্যায়ে ‘মা অসুস্থ’ বলে চট্টগ্রাম টিম হোটেল ছেড়ে ঢাকায় ফেরার কথাও জানিয়েছিলেন মিরাজ। পরে কাল রোববার খেলা শেষে রাতে রফা হয়েছে। চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি পক্ষ মিরাজকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রেখে দিয়েছেন দলের সঙ্গে। আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে একাদশে থেকে মিরাজ খেলেছেনও।
দলের ম্যানেজমেন্ট ও সিইওর বিপক্ষে নানা অভিযোগ করেও শেষ পর্যন্ত মিরাজ দলের সঙ্গে থেকে গেলেও ঘটনা-রটনা কমেনি।
অনেকেই মিরাজের অভিযোগ খুঁটিয়ে দেখার পক্ষে মত দিয়েছেন। তার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ার আসল কারণ কী? ক্রিকেটীয়, না অন্য কারণও আছে। তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্তঃ নেই।
সত্যিই কি স্পট বা ফিক্সিংয়ের ব্যাপার ছিল? চট্টগ্রাম ম্যানেজমেন্টের কেউ কী এমন কার্যক্রমের সঙ্গে কোন না কোনভাবে জড়িত? এমন প্রশ্নও উঠেছে। যদি এমন কিছু থেকেই থাকে, তাহলে তার যথাযথ অনুসন্ধান খুব জরুরি।
অনেকেরই মত, বিপিএলের গায়ে কোনোরকম কালো দাগ লাগুক সেটা প্রত্যাশিত নয়। খোদ বিসিবি ও বিপিএল কর্তৃপক্ষেরই উচিৎ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করা।
আশার খবর, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল এবং সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকও আজ সেটাই জানিয়েছেন। বিসিবি পুরো ঘটনাটি আমলে নিয়েছে। অন্যভাবে বললে বলা যায়, বিপিএল কর্তৃপক্ষ ও বিসিবি সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করতে আগ্রহী।
সোমবার বিকেলে শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শেখ সোহেল ও মল্লিক জানান, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন এবং বিপিএল কর্র্তপক্ষ পুরো ঘটনা জানতে মেহেদি হাসান মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসবেন। তাদের ডাকা হবে। দু’পক্ষের মতামত জানতে চাওয়া হবে। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার তদন্ত ও শুনানি হবে। তার ভাষায়, ‘আসলে কালকে আমরা ঘটনাটা শুনলাম। আমরা এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি, আমি ছিলাম, মল্লিক ভাইও ছিল। সবার সঙ্গে কথা বলার পরে আমরা যেটা দেখেছি- মিরাজেরও এখানে ভুল আছে, ম্যানেজমেন্টেরও ভুল আছে। দু’জনই কিন্তু হিসেবে দোষি সাব্যস্ত হয়। মিরাজের মতো জাতীয় এবং উঁচু মানের ক্রিকেটার হয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই ভূমিকাটা রাখা ঠিক হয়নি। তার আরও অপেক্ষা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমরা বিসিবির কমিটি ছিলাম, সেখানে সে বলে অপেক্ষা করতে পারতো। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও সমস্যা আছে, আমি তাদেরও ছাড় দেবো না। তাদের শুনানি হবে কয়েকদিনের মধ্যে। দু’পক্ষকে সাথে নিয়েই আমরা শুনানি করবো। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও ধৈর্য্য ধরা উচিত ছিল। তারা দু’পক্ষই নিজেদের মাঝে আলোচনা করে একটা কিছু করতে পারতো। এত বড় পর্যায়ে যাওয়ার জিনিস ছিল না এটা।’