বর্তমানে আক্রান্তদের ২০ শতাংশই ওমিক্রন: গবেষণা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য কভিড-১১ এর জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কভিড-১৯ জিনোম ডেটাবেইস তৈরি করা।
‘এ প্রতিবেদন বিএসএমএমইউ-এর চলমান গবেষণার ৬ মাস ১৫ দিনের ফলাফল, আমরা আশা করি পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে হালনাগাদ করা ফলাফল জানাতে পারব।’ ২৯ জুন ২০২১ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশব্যাপী রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেনটেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৭৬৯ কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ন্যায্য ফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। বিএসএমএমইউ’র গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়সসীমাকেই কভিড ১৯-এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও কভিড সংক্রমণ রয়েছে। আরও পাওয়া গেছে যে, কভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি পেয়েছিলাম। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সে ক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।