লোহাগড়ায় পিতার পৈত্রিক ভিটা ঘুরে দেখলেন সেনা প্রধান

0

শিমুল হাসান,লোহাগড়া(নড়াইল)॥ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ (এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি) মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি নদীপাড়ের করফা গ্রামে অবস্থিত পিতার পৈত্রিক ভিটা ঘুরে দেখেছেন। এ সময় তিনি শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে সেনা প্রধান করফা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার, পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক এবং কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন সহ অন্যান্য সেনা কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, হেলিকপ্টার থেকে অবতরণের পরেই তিনি সফরসঙ্গীদের সাথে নিয়ে পায়ে হেঁটে তার পিতার পৈত্রিক ভিটায় পৌঁছান। এ সময় তিনি তার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যাপক শেখ রোকন উদ্দিন আহম্মদের নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর তিনি পূনরায় পায়ে হেঁটে করফা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মঞ্চে উপস্থিত হন। এ সময় নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন খান নিলু, সহ-সভাপতি সিকদার আজাদ রহমান, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান রুনু শিকদার, লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমান, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমান, দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সেনা প্রধান এলাকার শীতার্তদের মাঝে প্রায় ৮ শতাধিক কম্বল বিতরণ করেন। এরপর তিনি সড়ক পথে কালনা এলাকায় মধুমতী নদীর ওপর নির্মাণাধীন রেলওয়ে সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এরপর সেনা প্রধান শহরের মধুমতী আর্মি ক্যাস্পে মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহন করেন। মধ্যাহ্নভোজ শেষে তিনি শহরের লক্ষীপাশাস্থ শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারযোগে দুপুর ২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় (পিপিএম বার)। এ দিকে, সেনা প্রধানকে একনজর দেখার জন্য পৌষের কনকনে শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই করফা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং শহরের শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম এলাকায় হাজার হাজার আবালবৃদ্ধবণিতা ভীড় জমায়। এ সময় উৎসুক জনতার ভীড় সামলাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হিমসিম খেতে হয়।