সরকারি মাধ্যমিকে শিক্ষক সংকট চরমে, আটকে আছে নিয়োগ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ এক বছরের বেশি সময় ধরে আটকে আছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ কার্যক্রম। পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ হলেও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় আটকে আছে এ নিয়োগ কার্যক্রম। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিএসসি থেকে ২ হাজার ১৫৫ জনকে সরকারি মাধ্যমিকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। এরপর তাদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য সংগ্রহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের কাজ শুরু করা হয়। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের যোগদান শুরু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাওয়া হয়। যোগদান পাওয়ার পাঁচ বছর পর এসব শিক্ষকরা বিএড সম্পন্ন করবেন। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত পেলে সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান শুরু করার কথা থাকলেও তা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের ৩১৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সর্বশেষ ২০১১ সালে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে বিসিএস নন-ক্যাডারদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল। তবে বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে স্কুলগুলোর জন্য বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছিল না। এছাড়া বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে যারা শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়ে আসেন, তাদের বেশিরভাগই পরে অন্য চাকরিতে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক সংকট থেকেই যায়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক শূন্য রাখা হবে না সরকারের এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এককভাবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে পিএসসি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন সোমবার (৩ জানুয়ারি) বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ১৫০ জন শিক্ষক নিয়োগে মন্ত্রণালয় যত ধরনের তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে আমরা তা পাঠিয়েছি। তারপরও কেন গত দুই বছর ধরে এ নিয়োগ কার্যক্রম আটকে আছে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা পিএসসি থেকে পাঠানোর পর প্রার্থীদের মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু করা হয়। করোনার কারণে সে কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হলেও তা অনেক আগেই শেষ করা সম্ভব ছিল। কেন সেটি হচ্ছে না তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি বিদ্যালয়) সৈয়দ ইমামুল হোসেন জানান, পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ হয়েছে। সেই প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের যোগদান কার্যক্রম শুরু করতে অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। দেখা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিএসসি তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।