ড. আবদুল লতিফ মাসুম
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঞ্চতন্ত্রে’ উপলব্ধির একটি চমৎকার গল্প আছে। পড়ন্ত বিকেলে পানি নিয়ে ঘরে ফিরছে গৃহিণী। একরকম স্বগতভাবে সে বলছে, ‘সময় তো আর নেই’। দিনের শেষে সূর্যাস্তকে লক্ষ করে তার এ উক্তি। সে সময় এলাকার জমিদার অতিক্রম করছিলেন পথ। তাড়া করে ফিরছিলেন বাড়ি। ওই সময়ে ওই গৃহিণীর স্বগত উক্তি তার কাছে অসম্ভব তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়। বারবার জমিদারের বুকে বাজতে থাকে ওই কথাটি ‘সময় তো আর নেই’। জমিদার বাড়ি ফিরে গেলেন। জমিদারের পোশাক খুলে ফেললেন। সন্ন্যাসীর বেশে বেরিয়ে পড়লেন, পৃথিবীর পথে। সামান্য বাক্য অসামান্য হয়ে দেখা দিলো তার উপলব্ধির হৃদয়ে। ছোট সময়ে আমরা বাহরাইনের বাদশাহর আরেকটি গল্প পড়েছিলাম। সেখানে বাদশাহ তাহাজ্জুদগুজার। তিনি গভীর রাতে ইবাদতে মশগুল। এমন সময় তিনি প্রাসাদের ছাদে পদচারণার শব্দ শুনতে পেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কে ওখানে? কি করছ? উত্তর এলো, আমি উটের রাখাল। উট খুঁজছি। বাদশাহ বললেন, ‘সে কেমন আজব কথা, ছাদে কি উট পাওয়া যায়?’ ছাদ থেকে যেন দৈব আওয়াজ এলো- ‘হে বাদশাহ, ছাদে যদি উট পাওয়া না যায় তাহলে প্রাসাদে থেকে আল্লাহকে কিভাবে পাওয়া যাবে?’ এখানেও উপলব্ধি আগের মতোই। বাদশাহ সকাল হতে না হতেই বেরিয়ে পড়লেন আল্লাহর পথে। দ্বীনের দুনিয়ায়। লোভ, মোহ ও মায়া ত্যাগ করে তিনি আল্লাহর পথে হলেন নিবেদিতপ্রাণ। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম উপলব্ধির গল্প অনেক। বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসেও এরকম গল্প আছে। উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুতে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা আছে। আজকে আমরা এরকম একটি উপলব্ধির গল্প বলব। যদিও আগের গল্পের সাথে গভীরতায়, ব্যাপকতায় এবং স্থান-কাল ভেদে এর পারম্পর্য সামান্য, তবুও উপলব্ধি তো!
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আবদুল গাফফার চৌধুরী একটি আলোচিত নাম। বিগত ষাট বছর ধরে তিনি এ দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর কিছু না হোক ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়েছেন। বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক যে ঘরানা আছে সেখানে তার নাম আওয়ামী শিবিরে। তবে অনেকসময় তিনি সত্য কথাও বলে ফেলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ঠিক পরবর্তী অধ্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতি যখন অস্থিরতা, অরাজকতা ও অতিরঞ্জনে আক্রান্ত তখন তিনি কিছু সত্য কথা দ্বিধাহীন বলেছিলেন। আবার যখন সামরিক শাসন এসেছে এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটেছে তখন তিনি স্বনির্বাসনে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি ‘নিরুদ্দিষ্ট ছিলেন ৯ মাস’। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি প্রবাসে থাকলেন অনেক মাস, অনেক বছর। লেখালেখির যে একান্ত জগৎ সেখান থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হননি কখনো। আওয়ামী ঘরানার একজন মুরব্বি হিসেবে তিনি সম্মানিত তাদের সবার কাছে। কিন্তু খোদ আওয়ামী মহল তাকে যথার্থভাবে মূল্যায়ন করে না- এরকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে তার কলামে। এসব সীমাবদ্ধতা সত্যেও তার বক্তব্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ। প্রশংসা-প্রশস্তি অবশেষে তিনি কিছু সত্য কথা বলেছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে তার সাপ্তাহিক কলামটি প্রকাশিত হয়। এর শিরোনাম ছিল- ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে’। তিনি এই শিরোনামে হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন ‘অপ্রিয় সত্য কথাটি বলবে কে?’ এ কথাটি অস্বীকার করে লাভ নেই যে, আমরা বন্দনার যুগে বসবাস করছি। আর বাংলাদেশের সমাজে ‘বন্দনা’ একটি অপ্রিয় সত্য। ছোট বেলায় যাত্রাগানে বন্দনা শুনেছি। সে বন্দনার যেন শেষ নেই। জনাব চৌধুরী এ ধরনের বাক্যবিন্যাসের পর আসল কথায় এসছেন। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যে সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছে তাতে রয়েছে ক্ষোভ। তার ভাষায় ‘আমার ধারণা, মির্জা ফখরুলের আগামী নির্বাচন কমিশনার অথবা আগামী নির্বাচন সম্পর্কে ভয় করার কিছু নেই। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ গত দুই নির্বাচনে ভোট কারসাজি করেছে- তাদের এই দাবি যদি সত্য হয় তাহলে তৃতীয়বার এই কারসাজি করার সুযোগ আওয়ামী লীগের থাকবে না। কারণ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এবার বাংলাদেশের নির্বাচনের ওপর কঠোর দৃষ্টি রাখবে। দেশের মানুষও অত্যন্ত সজাগ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখা গেছে, বিএনপি মাঠে না থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দলে দলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছে।’ জনাব চৌধুরীর লেখাটি প্রকাশের পর ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে। এর ফলাফল দেখলে হয়তো তিনি আরো হতাশ হতেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ক্রমেই ডুবছে নৌকা। প্রথম ধাপে তাদের বিজয় ৭৬ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায় ৬৯ শতাংশ। তৃতীয় মাত্রায় তারা পেয়েছে ৫৪ শতাংশ বিজয়। অবশেষে চতুর্থ ধাপে তাদের ফলাফল ৫১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর পর যদি পঞ্চম ধাপ থাকত তাহলে তাদের আরো শোচনীয় অবস্থা দেখা যেত। চতুর্থ ধাপের ভোটে ১৬২টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতেই ছিলেন না। আওয়ামী লীগের দুর্গে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। জনাব আবদুল গাফফার চৌধুরী আওয়ামী উন্নয়ন সম্পর্কেও অপ্রিয় সত্য কথাটি বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দেশে অবশ্যই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে, তার বেশির ভাগ সুফলই কোটিপতিদের ঘরে গেছে। সাধারণ মানুষের ঘরে গেছে কম। তার ওপর আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর এমপি-মন্ত্রীর দুর্নীতি ও অবিচার বিএনপির আমলকে ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। সাধারণ মানুষের মনে এই অত্যাচার-অবিচারের কারণে দারুণ ক্ষোভ জন্মেছে। আগামী নির্বাচনে এই প্রটেস্ট ভোট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাবে। আমি কোনো কারণ দেখি না, বিএনপি নেতারা কেন নির্বাচনে যেতে এবারো ভয় পাচ্ছেন। তারা বারবার নির্বাচন বর্জন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখেছেন। শেখ হাসিনা অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কিন্তু তার দল আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে আজ চরমভাবে নিন্দিত। আগামী নির্বাচনে আমার ভোটটি আওয়ামী লীগকে দেবো কি না সন্দেহ।’
জনাব চৌধুরীর বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তবে নির্বাচন সম্পর্কিত তথ্যটি প্রশ্নসাপেক্ষ। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখেছি, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেনি; বরং এমন অবস্থা, পরিবেশ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে বিএনপি নিশ্চিতভাবেই পরাজয় বরণ করে ‘আনন্দ অনুভব করে’। উদাহরণ হিসেবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের কথা বলা যায়। এর পূর্বক্ষণে পাঁচটি সিটি করপোরেশনে বিএনপি যখন জয়লাভ করে তখন আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। এর আগে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে দলীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল- কোনোক্রমেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। তাই তারা ভোটারবিহীন বোগাস নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করে। আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের মুখে তারা কথা দিয়েছিল ‘অচিরেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’। তারা সে কথা রাখেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। ডক্টর কামাল হোসেনের সংলাপ শেষে বলা হয়েছিল ‘আমায় বিশ্বাস করুন’। বিএনপি তাদের বিশ্বাস করেছিল। তারা নিশীথরাতের নির্বাচন করেছিল। তৃতীয় নির্বাচন বা ২০২৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার প্রাসাদকে এতটাই লাঠিয়াল আর উমেদার দিয়ে ঘেরাও করেছে যে, বিএনপি যাতে অংশগ্রহণ না করে তা নিশ্চিত করার প্রয়াস লক্ষ করা যাচ্ছে। এর পরও বিএনপি যদি সমাগত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে তা হবে ‘ন্যাড়ার তৃতীয়বার বেলতলায় গমন’। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে যে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কেউই আর পাতানো খেলায় অংশগ্রহণ করবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকার বা জাতীয় সরকার- তা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, অনুরূপ ব্যবস্থা ব্যতীত আগামী নির্বাচন অসম্ভব হয়ে উঠবে। জনাব গাফফার চৌধুরী যথার্থভাবেই উপলব্ধি করেছেন, ‘তৃতীয়বার এই কারসাজি করার সুযোগ আওয়ামী লীগের থাকবে না’। না থাকার কারণ হিসেবে তিনি দেশজ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন ‘আওয়ামী লীগ শাসনামলে যে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আশা করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ গড়ে উঠেনি। যে বিরাট উন্নয়ন গড়ে উঠেছে, তার বেশির ভাগ সুফল নব্য ধনীদের পকেটে গেছে। সাধারণ মানুষের অবস্থার উন্নতি হয়েছে কম। ঢাকার রাজপথে জনতার ভিড় দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
ঢাকায় যে এত মানুষের ভিড়, তার কারণ ক্রমবর্ধমান বেকার মানুষ মফস্বলের শহর থেকে ক্রমাগত ঢাকা আসছে। আওয়ামী লীগ এই জনস্রোত বিপরীতমুখী করতে পারেনি। আগে যে মহাজোট সরকার ছিল তা-ও নেই। রাশেদ খান মেনন বা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা কাদের মন্ত্রী করেছেন? তাদের এক প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যে নারীঘটিত কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। মন্ত্রিত্ব হারালে কী হবে? তিনি এমপি পদ হারাননি। দেশে দু’রমের আইন চালু রয়েছে। একটি আইন সাধারণ মানুষের জন্য। অপরটি সরকার যাদের পছন্দ করে তাদের জন্য। সামান্য কারণে সাংবাদিক গ্রেফতার করে তার ওপর অত্যাচার করা হয়। অথচ সরকারের পছন্দের কোনো লোক মদ খেয়ে রাস্তায় গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট ঘটিয়ে মানুষ হত্যা করলেও তাদের বিচার হয় না। এক দেশে দু’রকম আইন চালু রয়েছে। এ রকম ঘটনা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই।… পরীমণির ঘটনাটি দেখা যায়, তাকে সম্ভবত মিথ্যা মমলায় জড়ানো হয়েছে। এখন নিম্ন আদালতে তারিখের পর তারিখ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ ঘটনার পেছনেও রয়েছে এক নারীলোলুপ ব্যবসায়ী এবং তার সহযোগী এক সরকারি কর্মকর্তার ষড়যন্ত্র। আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যদি পুনর্গঠিত না হয়, তার অন্তত ৮০ শতাংশ এমপি ও উপজেলা চেয়ারমান পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে কী হবে তা ভাবা যায় না।’ জনাব চৌধুরীর এরকম সত্যনিষ্ঠ ও বাস্তব উপলব্ধি অবশ্যই গুরুত্বের অবকাশ রাখে। সুদূর লন্ডনে আছেন বলে আরো কিছু খবর হয়তো তার গোচরীভূত হয় না। প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অন্যায়-অনিয়ম, অত্যাচার-অনাচার এতটাই বেড়েছে যে, ‘ভয়াবহ’ বললেও হয়তো কম বলা হবে। বিলেতের মতো জায়গায় বসবাস করার কারণে জনাব চৌধুরী আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আমাদের চেয়ে ভালো বোঝেন। আমরা তার এই উপলব্ধির সাথে একমত যে, ‘বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এবার বাংলাদেশের নির্বাচনের ওপর কঠোর দৃষ্টি রাখবে।’ তিনি আঞ্চলিক তথা প্রতিবেশী ভারতের বিষয়টি উল্লেøখ করতে ভোলেননি। তার উপলব্ধি ‘ভারতে এখন বাংলাদেশের বন্ধু কম’। আমরা বাংলাদেশের মানুষ দেখি- আমাদের বিপদ-আপদে তাদের সমর্থন পাওয়া যায় না। বরং রোহিঙ্গা প্রশ্নে বিপরীত অবস্থান, এমন কি করোনার টিকা দিতেও তাদের কার্পণ্য : তখন আমরা বুঝি সেখানে আমাদের বন্ধু নেই। জনাব চৌধুরী আরো মনে করেন, ‘আমেরিকা ও ইসরাইল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে’। ষড়যন্ত্র কি না তা আমরা ভালো বুঝি না। তবে ১. মার্কিন গণতান্ত্রিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়া; ২. সেনা, র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ভিসার অস্বীকৃতি; ৩. সামরিক সহায়তার কঠোরতাÑ আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। সে ক্ষেত্রে জনাব চৌধুরীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং উপলব্ধির সাথে আমরা একমত।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়