বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারতকে এড়ালো পাকিস্তান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ম্যাচ তখন ১৩ মিনিটে গড়িয়েছে। ক্লাব হাউজ থেকে এক দর্শকরে খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে চিৎকার- প্রথম কোয়ার্টার আটকে দাও পাকিস্তানকে। বলতে না বলতেই খেলার ধারার বিপরীতে বাংলাদেশের গোল।
সোহানুর রহমান সবুজের পাস থেকে রাসেল মাহমুদ জিমির স্টিক হয়ে বল আরশাদের কাছে গেলে কোন ভুল করেননি তিনি- বল পাঠিয়ে দেন পাকিস্তানের পোস্টে। মওলনা ভাসানী স্টেডিয়ামে তখন উল্লাস। সে উল্লাস মিলিয়ে যায় পরক্ষণেই, ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন নাদিম আহমেদ।
নিমিষেই থেমে যায় স্বাগতিকদের সব উচ্ছ্বাস। ড্র করলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত ছিল পাকিস্তানের। তবে তাদের লক্ষ্য ছিল বড় ব্যবধানে জেতা। না হলে সেমিফাইনালে যে ভারতকেই মোকাবিলা করতে হবে। তাই তো চড়াও হয়ে খেলে একের পর এক গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে থাকে পাকিস্তান।
১৮ মিনিটে এজাজ গোল করলে ব্যবধান ২-১ হয়। তৃতীয় গোলটি ছিল চোখ ধাঁধানো। আবদুল রানার লম্বা পাস থেকে স্কয়ার পাস দিয়েছিলেন মানজুর জুনাইদ। সেই বলে আফরাজ যে দুর্দান্ত প্লেসিং করলেন তা দীর্ঘদিন চোখে লেগে থাকার মতো। এই টুর্নামেন্টে নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের সেরা গোল সেটি।
২৬ মিনিটে নাদিমের দ্বিতীয় গোল, ৩৪ মিনিটে রাজ্জাকের। পাকিস্তানের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-১। বাংলাদেশের বড় ব্যবধানে হার যখন নিশ্চিত তখন আরেকটি সুন্দর গোল বাংলাদেশের। অধিনায়ক আশরাফুলের লম্বা পাসে আরশাদ স্টিক লাগিয়ে পাঠিয়ে দেন পাকিস্তানের পোস্টে।
৩৮ মিনিটে এজাজ আহমেদ গোল করলে পাকিস্তানের ব্যবধান বেড়ে হয় ৬-২। সর্বশেষ ৩ ম্যাচে পাকিস্তান ১৮ গোল দিয়েছিল বাংলাদেশকে। একবারও পাকিস্তানের পোস্টে বল পাঠাতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। রোববার এক ম্যাচেই ২ গোল করলো আশরাফুলরা।
শেষ পর্যন্ত ৬-২ ব্যবধানে জিতে গোল ব্যবধানে জাপানকে পেছনে ফেলে তিনে উঠে যায় পাকিস্তান। আর সেমিফাইনালে ভারতকে এড়িয়ে তারা পেয়েছে কোরিয়াকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের এটিই শেষ ম্যাচ। মালয়েশিয়া না আসায় পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আর প্রয়োজন নেই।
২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রথম সোমিফাইনালে পাকিস্তান খেলবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আর সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় সেমিতে ভারত খেলবে জাপানের বিপক্ষে।