আবরার হত্যার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। একই সঙ্গে গেস্টরুমে নির্যাতনবিরোধী আইন পাসের দাবি জানান তারা। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতির বিষবাষ্পে পরিণত হয়েছে। আবরার যেমন আমাদের ভাই, তেমন আজ যারা আবরারকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদণ্ড পেল তারাও আমাদের ভাই। তাহলে তারা কীভাবে ভয়াবহ দানবে পরিণত হলো। দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার জন্য, দেশের পানি, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলার জন্য আবরার ফাহাদকে হত্যা করলো। অমিত সাহার মা বলেছেন, আমি যদি জানতাম অমিত ছাত্রলীগের রাজনীতি করে, ওর দুই গালে জুতা মারতাম। ছাত্রলীগ এমন একটা মেশিন এখানে কেউ ঢুকলে সন্ত্রাসী হয়ে বের হয়। এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের আজকের এ অবস্থা। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সচেতন হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে আপনার আদরের সন্তানটি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বুয়েটে কিন্তু ছাত্রলীগ এখনো রাজনীতি করছে। রাজনীতি একটা প্রকৃতিগত বিষয়। চাইলেই বন্ধ রাখা যায় না। বরং এ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ করেন তাহলে কার্যকর কিছু হবে। কখনো কোথাও শূন্যস্থান থাকে না। তাই এ অশুভ দানবীয় শক্তির মোকাবিলা করতে একটি শুভ শক্তিকে দাঁড় করাতে হবে। আপনারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো, ডাকসু নির্বাচন কেন দিচ্ছেন না। তাহলে তো ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র নেতারা চিন্তা করতেন ভোটের কারণে হলেও ছাত্রদের জন্য কাজ করতে হবে। বুয়েটের ছাত্র আবরারের হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। গেস্টরুম ও গণরুমে নির্যাতনবিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আবরারের হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে হলের দায়িত্বরত শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলের দায়িত্বে থাকেন শিক্ষকরা কিন্তু শিক্ষক রাজনীতি, পদ পজিশন, সরকারের প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য ক্ষমতাশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেয়। ফলে হলগুলো হয়ে ওঠে নির্যাতিত নিপীড়নের আস্তানা। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে নির্যাতনবিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে। পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়া ও ঢাবি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ, সহ-সভাপতি সোহেল মৃধা, নাহিদ উদ্দিন, রেদওয়ান উল্লাহ, ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, জহির ফয়সাল এবং দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহসহ অন্য নেতারা।