করাপশনের কালো হাত ভেঙে ফেলবো: হাইকোর্ট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ ইনচার্জ) রিফাতুল হকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে (নটপ্রেস রিজেক্ট) খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন। গত ৬ অক্টোবর তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, মর্মে রুল জারি করেছিলেন আদালত। ওই রুলের ওপর শুনানি নিয়ে সেটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন হাইকোর্ট।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল। দুদকের পক্ষে ছিলেন এম এ আজিজ খান। ঢাকা ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাদিয়া আফরিন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখায় ভল্ট থেকে চার কোটি টাকা লুটের ঘটনায় করা মামলায় রিফাতুল হকের জামিনের রুল শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ব্যাংকের টাকা হোক আর যাই হোক, কোনো দুর্নীতিকেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। করাপশনের (দুর্নীতি) কালো হাত ভেঙে ফেলবো। যে কোনো দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে আমরা খুবই কঠোর। দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় নেই।’ এসময় ব্যাংকের ভল্টের টাকা কিভাবে উধাও হয়ে গেলো, সে প্রশ্নও তোলেন হাইকোর্ট। জানা গেছে, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তাকে আসামি করে গত ১৯ জুন সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকার উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
মামলার পর রিফাতুল হক এবং এমরান আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়। রিফাতুল এখন কারাগারে রয়েছে। মামলাটি এখন তদন্তাধীন। শুনানিতে ব্যাংকের ভল্টের টাকা কিভাবে উধাও হলো- এমন প্রশ্ন তুলে আদালত বলেন, ‘ব্যাংকের ভল্টে রাখা টাকা যায় কিভাবে? তাদের ধরতে হবে। ব্যাংককে কঠোর হতে হবে।’ এসময় রিফাতুল হকের আইনজীবী বলেন, ‘তার কাছে চাবি ছিল না। চাবি ম্যানেজারের কাছে ছিল।’ এছাড়া দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘ঢাকা ব্যাংকের ওই ঘটনা মিডিয়াতেও এসেছে।’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘রিফাতুল নিজে স্বীকার করেছে, সে লোভের বশবর্তী হয়ে এই টাকা সরিয়েছে।’