যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল: অজ্ঞান পার্টি নির্বিঘ্নে রোগীর অর্থ সম্পদ লুটছে : পুলিশ ব্যস্ত মোবাইল ফেসবুক নিয়ে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অজ্ঞান পার্টির নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল। চিকিৎসার জন্য আসা নারীরাই তাদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক দিনে ৪ নারী এদের শিকার হয়েছে। এ সব হরহামেশা ঘটলেও পুলিশ ব্যস্ত থাকে মোবাইল ফেসবুক নিয়ে। রোববার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা রোকেয়া বেগম (৪৫) নামে এক রোগীকে অজ্ঞান করার পর তার সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা আরও ৩ রোগীকে অজ্ঞান করে তাদের টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রোকেয়া বেগম নামে ওই গৃহবধূ হাসপাতালের ডায়াবেটিস বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা নিয়ে চেম্বার থেকে বের হওয়ার পর পরই সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ছলনা করে রোকেয়া বেগমকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়। এরপর চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতাল চত্বরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লিটন নামে এক যুবক দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে ভর্তি করে দেন। অচেতন অবস্থায় তার কাছে বহির্বিভাগের টিকিট ছিল। ওই টিকিটে তার নাম লেখা ছিল রোকেয়া। টিকিট দেখে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে রোকেয়া (৪৫) নামে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেলে তার কিছুটা চেতনা ফিরে আসে। তখন রোকেয়া নিজকে যশোর শহরের শংকরপুর রায়পাড়া এলাকার মুনসুর গাজীর স্ত্রী বলে জানান। বর্তমানে অজ্ঞান পার্টির নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল। সেখানে পুলিশ আছে। তারা সব সময় মোবাইল ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর এ সুযোগে অপরাধীরা নির্বিঘেœ চুরি, ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। গত কয়েক দিনে ৪ জন মহিলা রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের কৌশলে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকারসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।