জি কে শামীমের মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমে মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এদিন জি কে শামীম এবং তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এ মামলায় পলাতক থাকায় আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর আগে কারাগারে আটক আসামি জি কে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদক জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক। এছাড়া শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
অনুসন্ধানে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও খুঁজে না পাওয়া মামলাটি করে দুদক। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ রাজধানীর ঠিকাদারির মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‌্যাব। নিকেতন এ-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে র‌্যাব দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার অফিস থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।