আদালত রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় সব আসামি খালাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় সাফাত ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন- সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল¬াল হোসেন। আদালত বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। ডিএনএ পরীক্ষা এবং আলামত থেকে ধর্ষণ হয়েছে সেই প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের অভিযোগ আনা হলেও এটিকে ধর্ষণ বলা যাবে না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়ে পাবলিকের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। এ সময় আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেন। আদালত বলেন, যে চারজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তাদের আদালতে নেওয়ার আগে নির্যাতন করা হয়েছিল। রিমান্ডের পরে তারা অসুস্থ ছিলেন। এ সংক্রান্ত পিটিশন হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত ছিল। সেদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর নির্ধারণ করেন আদালত। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ২০১৭ সালের ৬ মে ৫ জনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থী বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সাফাত ও নাঈম মামলার বাদী ও অন্য এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন। ঘটনার সময় বিল¬াল, রহমত ও সাকিফ সহায়তা করেন। ওই বছরের ৭ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সাফাত, নাঈম, সাকিফ ও বিল¬াল বিভিন্ন সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ট্রাইব্যুনাল ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলায় মোট ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।