বন্ধুর দেয়া ক্লেমনের বোতল হাজতখানায় ছেলেকে দিতে গিয়ে মদসহ আটক হলেন মা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের হাজতখানার সামনে থেকে রোববার বিকেলে মদসহ ফুলমতি বেগম (৫০) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। হাজতখানায় ছেলেকে খাবার দিতে গেলে একটি বোতলে মদসহ তাকে আটক করা হয়। এই বোতলটি ছেলেকে দেয়ার জন্য মাকে দিয়েছিল তার (ছেলের) বন্ধু। তিনি জানতেন না ক্লেমনের ওই বোতলে মদ দেওয়া হয়েছিলো। আটক ফুলমতি বেগম সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের জামাল গাজীর স্ত্রী। তিনি আদালতের হাজতখানায় আটক থাকা ছেলে রবিউল ইসলামকে খাবার দিতে গিয়েছিলেন। স্বজনেরা জানান, রবিউল ইসলাম একজন ট্রাকচালক। তিনি ইজিবাইক চুরি সংক্রান্ত একটি মামলার আসামি হওয়ায় রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ কারণে রবিউল ইসলামকে আদালতের হাজতখানায় আটক করে রাখে পুলিশ। খবর পেয়ে খাবার নিয়ে ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন ফুলমতি বেগম। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রবিউল ইসলামের বন্ধু বাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রিকশাচালক সিরাজ (৩৫) কোমল পানীয় ক্লেমনের একটি বোতল ফুলমতি বেগমের হাতে দিয়ে হাজতখানায় তার ছেলের কাছে পৌঁছে দিতে বলেন। কিন্তু খাবার নিয়ে হাজতখানার সামনে গেলে ক্লেমনের ওই বোতলের ভেতর মদ আছে দাবি করে পুলিশ ফুলমতি বেগমকে আটক করে। এ সময় আদালত চত্বরে অবস্থানরত সিরাজ বিষয়টি টের পেয়ে রিকশা ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশ তার ফেলে যাওয়া রিকশাটি জব্দ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আটক ওই নারী আসলে জানতেন না ক্লেমনের বোতলে মদ আছে। তিনি সরল মনে ক্লেমন ভেবে ছেলেকে দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে আটক করায় তিনি হাউমাউ করে কেঁদেছেন। আদালতের হাজতখানায় কর্মরত পুলিশের এটিএসআই সন্তোষ জানান, পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করে ক্লেমনের বোতলের ভেতর মদ পেয়েছেন। এ কারণে ওই নারীকে তারা আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।