তেলের পর এলপিজির দামবৃদ্ধি জনগণের সঙ্গে তামাশা: ন্যাপ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর পরপরই এলপিজির দামবৃদ্ধি দেশের জনগণের সঙ্গে চরম তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তারা বলেন, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আর সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের সকল দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। সরকারের দুইদিনের সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে এই সরকার জনগণের স্বার্থ নয়, লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
জেবেল রহমান গানি ও এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সাধারণ মানুষের আয় ও জীবনযাপনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে মহামারি করোনাভাইরাস। করোনার প্রকোপ কমে এলেও সাধারণ মানুষের জীবনে এখনো এর প্রভাব রয়ে গেছে। অনেকের আয় কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির পরপরই এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে বৃদ্ধি পাবে সব ধরনের পণ্যমূল্য। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। নেতৃদ্বয় বলেন, ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির কারণে অন্য সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি পাবে এবং শুধু একটা জিনিসের মূল্য কমবে। যেটির মূল্য কমবে সেটি হলো ‘মানুষ’। করোনার কারণে এখন সাধারণ মানুষ এমনিতেই কষ্টের মধ্যে রয়েছে। তারা আরও বলেন, এখন ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজির দাম বাড়ার কারণে পরিবহনের ব্যয় বাড়বে, কৃষির ব্যয় বাড়বে, ভোক্তার কাছে দ্রব্যমূল্য বাড়বে। কাজেই কৃষকও পয়সা পাবে না, পরিবহনের সাধারণ শ্রমিকও পয়সা পাবে না। মাঝখান দিয়ে যাদের পাওয়ার তারা পাবে। যারা শক্তি দিয়ে কোনো সম্পদ সৃষ্টি করেন না। অন্যের সৃষ্ট সম্পদ জোর দখল করে খান। নেতৃদ্বয় বলেন, বাজারের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে। এমনিতেই মানুষের আয়-রোজগার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে।