লগি-বৈঠার হত্যা মানবতাবিরোধী অপরাধ : লেবার পার্টি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর দিবালোকে লগি-বৈঠা নিয়ে হত্যার মহোৎসব করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে সংঘাত, সংঘর্ষ ও প্রতিহিংসার দাবানল ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার হাতবদল রুদ্ধ করে ‘আন্দোলনের ফসল’ জরুরি সরকার কায়েম করা হয়েছে। এরপর সংবিধান কেটে-ছেটে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা করে ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা হরন করা হয়েছে দেশবাসীর। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নির্বাহী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে এই ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো: মোসলেম উদ্দিন, এস এম ইউসুফ আলী, মাহবুবুর রহমান খালেদ, হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম-মহাসচিব হুমাউন কবির, আবদুর রহমান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম, মোহেবুল্লাহ আল মেহেদী, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, যুবমিশন আহ্বায়ক ইমরুল কায়েস ও ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন প্রমুখ। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: ইরান বলেন, লগি-বৈঠার হত্যাকাণ্ড কোনো বিছিন্ন ঘটনা নয়। পল্টন হত্যাকাণ্ড ছিল ফ্যাসিবাদী অপশক্তির সুপরিকল্পিত মানবতাবিরোধী অপরাধ। ২৮ অক্টোবরের পল্টন হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের পৈশাচিক, বর্বর, নিষ্ঠুরতম হত্যা, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ দিন লগি-বৈঠা দিয়ে পিঠিয়ে মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নেচে গেয়ে উল্লাস করেছে খুনিরা। সভায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল করতে জেলা, মহানগর ও উপজেলা/থানা কমিটি পুনঃগঠন ও সক্রিয় ভূমিকা পালনে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।