ঝিনাইদহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেও মূল্য আরও এক দফা বেড়েছে

0

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহে এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরও ্এক ধাপ বেড়েছে। সোমবার নতুন হাটখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরু চাল এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দিকে আটার দামও বাড়ছে সমান তালে। গত সপ্তাহে প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৩৪ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার ৩৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৯টাকা। সেই সাথে কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৫৪ টাকায়। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী ৫দিনের ব্যবধানে এই সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ। তবে বাজারে ডিমের দাম হালিতে ৩টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে যে ডিমের দাম ছিল ৩৮ টাকা, বর্তমানে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা হালি। এদিকে তেজপাতা প্রতি কেজি ২০০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি হলেও সোমবার বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা। আর রসুন কেজিতে ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। আলুর দাম সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৬৫টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন সবজির বাজার রয়েছে চড়া। নতুন হাটখোলা বাজারে ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজার থেকে পণ্য কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। মানুষের আয়ের যে অবস্থা তার সাথে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন একটু কম দাম পাওয়ার জন্য। মানুষ বাজারের এমন উত্তাপ টের পাচ্ছেন হাড়ে হাড়ে। আব্দুল্লাহ নূর তুষার নামের এক দিনমজুর বলেন, আমাদের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে। দিনমজুরি করে সারাদিন যে টাকা আয় করি বাজার করতে গেলে সব শেষ। তাহলে চলবো কী করে। বাজার করতে এসে সোহেল রানা বলেন, সপ্তাহ ধরেই উর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম। এতে কারো যেনো কোন মাথা ব্যথা নেই। প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকায় হতদরিদ্ররা পড়ছে বিপাকে। খাদ্য নিরাপত্তা ও মার্কেটিং অফিসারের বাজার মনিটরিং না থাকায় ভোক্তারা পদে পদে জিনিস কিনে ঠকছে। পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা দু মুঠো খেয়ে বাচার উপায় থাকছে না মানুষের। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কপাল পুড়েছে প্রতিটি মানুষের। যাদের চাকরি চলে গেছে, তাদের বেশির ভাগই চাকরি ফিরে পাননি। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের বাজারের আগুন মূল্যে মানুষ পুড়ে মরছে।