কিউকমের নিরব-রিপন রিমান্ডে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রাজধানীর লালবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের হেড অব সেলস (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) অফিসার হুমায়ুন কবির ওরফে আরজে নিরবের একদিন ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়ার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ অক্টোবর) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনসের উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন আসামিদের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা কিউকম ডটকম পরিচালনার অনলাইন শপিংয়ে ডিজিটাল জালিয়াতির উদ্দেশ্যে ধামাক্কা বিগ বিলিয়ন রিটার্ন অফারে পণ্যের ওপর ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অফারসহ অসংখ্য অফার দিয়ে ডিজিটাল প্রতারণা করে অবৈধ ই-ট্রান্সজেকশনের মাধ্যমে হাজারো গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। গ্রাহকদের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের অর্ডারকৃত পণ্য সরবরাহ না করে আইন বহির্ভূত ই-ট্রান্সজেকশনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে ডিজিটাল প্রতারণা করেছে। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।
গত ৬ অক্টোবর লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নামে এক চাকরিজীবী। লোভনীয় অফার দিয়ে তিনিসহ তার আরও তিন বন্ধু কিউকম থেকে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৩ টাকার পণ্য অর্ডার করে। কিন্তু কিউকম তাদের পণ্যগুলো সরবরাহ করেনি। প্রতারণার অভিযোগে করা এ মামলায় গত ৩ অক্টোবর রাজধানী থেকে রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ৪ অক্টোবর পল্টন থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এ আসামির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার প্রতারণার মামলায় তাকে আরও একদিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়। এ মামলায় রিমান্ড শেষে গত ১৫ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৮ অক্টোবর আরজে নিরবকে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিনই তেজগাঁও থানার মামলায় নিরবের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১০ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জানা যায়, অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতো কিউকমও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতো। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের পর সম্প্রতি অফিস বন্ধ করে দেয় কিউকম। এ ই-কমার্স সাইটটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পণ্য সঠিক সময়ে ডেলিভারি না দেওয়াসহ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।