রোনালদোর দেশে আশ্রয় পেলেন আফগান নারী ফুটবলাররা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পর্তুগালে আশ্রয় পেয়েছেন আফগান নারী ফুটবলারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। তালেবান দেশ দখলের পর নিরাপত্তার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন তারা। অবশেষে পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশে আশ্রয় পেয়ে তারা আনন্দিত। রোনালদোর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহও জানিয়েছেন আফগান যুব নারী দলের ফুটবলাররা। গত আগস্ট মাসে তালেবানরা দেশ দখলের পর ফতোয়া দেয়, আফগান মেয়েরা আর খেলাধুলা করতে পারবে না। তালেবান মনে করে এটি মেয়েদের জন্য ‘প্রয়োজনীয় নয়’৷ খেলতে গেলে মেয়েদের মুখ ও শরীর ঢাকা থাকবে না এমন যুক্তিও শোনায় তারা৷ তাছাড়া আগে যেসব নারী খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা নিজেদের জীবন নিয়েও ভীত ছিলেন। ফলে দেশ ছাড়ার কোনো বিকল্প ছিলনা তাদের।
ডয়চে ভেলের খবরে জানানো হয়েছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বরই পর্তুগালে পৌঁছেছেন এই নারী ফুটবলাররা৷ মোট ৮০ জন পর্তুগাল গেছেন৷ তাদের মধ্যে শিশুরাও আছে৷ পর্তুগাল তাদের আশ্রয় দিয়েছে৷ আফগানিস্তানের নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ফারখুন্দা মুহতাজ ঐ ফুটবলারদের পর্তুগালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন৷ মুহতাজ নিজে কানাডায় থাকেন৷ সেখানে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলের সহকারি কোচ৷ বুধবার রাতে তিনি ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করতে লিসবন গিয়েছিলেন৷ তরুণী ফুটবলাররা মুহতাজকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে৷ কেউ কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি৷ মুহতাজ জানান, তারা তাদের ভালোবাসার খেলাটি খেলতে পারবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম৷ পর্তুগালে পৌঁছানো ফুটবলারদের একজন ১৫ বছর বয়সি সারাহ৷ দেশ ছাড়তে কষ্ট হলেও পর্তুগালে গিয়ে সে নিজেকে নিরাপদ ভাবছে৷ সম্ভব হলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দেখা করতে চায় সে৷ রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, এখন আমি মুক্ত৷ আমার স্বপ্ন রোনালদোর মতো একজন ভালো খেলোয়াড় হওয়া৷ পাশাপাশি পর্তুগালে একজন বড় ব্যবসায়ী হতে চাই৷ সারাহ যদিও আশা করেন, একদিন আবার তিনি মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারবেন৷ তবে অবশ্যই সেখানে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার পাওয়া গেলে তবেই৷