নাভারন ক্লিনিক থেকে শিশু চুরির ঘটনায় আটক রিংকুর স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার উত্তর বুরুজবাগানস্থ নাভারন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে শিশু চুরির ঘটনায় আটক রিংকু ওরফে রিংকি বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই জিয়াউর রহমান। রিংকু জানিয়েছেন, ‘সাজু তাকে বলেছিলেন ওই ক্লিনিকে যেতে। তাকে বলা হয়েছিলো, সেখানে গেলে পরিবারের লোকজনই তার হাতে শিশু তুলে দিবেন। তার কথা মতো ক্লিনিকে গেলে হাতে শিশুকে দেয়া হয়। তবে তিনি বুঝতে পারেননি, আসলে শিশুটি তাকে দেখতে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে না পেরে তিনি সেখান থেকে শিশু নিয়ে আসেন। এরপর সাজুর কথা মতো তিনি নাছিমার হাতে তুলে দেন শিশুটি। বিনিময়ে নাছিমা ১৫ হাজার টাকা দেন সাজুকে। টাকা সাজুর কাছে রয়েছে। তিনি এ ধরনের কাজ করেন না। সাজুই তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন’।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শার্শার উত্তর বুরুজবাগানস্থ নাভারন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঝিকরগাছা উপজেলার মধুখালী গ্রামের বিল্লাল হোসেনে স্ত্রী রোকসানা খাতুনের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরদিন দুপুর সোয়া দুটোর দিকে সকলের অগোচরে ক্লিনিক থেকে শিশুটি চুরি হয়ে যায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর পিবিআই ঝিকরগাছার বাঁকড়া থেকে চুরি যাওয়া শিশুটি উদ্ধার করে। এছাড়া শিশু চুরি এবং কেনার অপরাধে আটক করা হয় ৩ জনকে। এরা হলেন-শার্শা উপজেলার বিত্তিআঁচড়া গ্রামের সুজন হোসেনের স্ত্রী রিংকু (২২), ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের শাহিনের স্ত্রী নাছিমা খাতুন (৪০) ও রায়পটন গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে সাজু (২৭)। এর মধ্যে নাছিমা গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দিলেন রিংকু।