যে কারণে ওয়ার্ল্ড র‌্যাকিংয়ে স্থান পাচ্ছে না দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যথাযথভাবে তথ্য উপস্থাপন না করতে পারায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ওয়ার্ল্ড র‌্যাকিংয়ে স্থান পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে এ কথা জানানো হয়। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। ইউজিসি সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুসংহত নয়। র‌্যাকিংয়ে ভালো অবস্থানে যেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্ব-উদ্যোগে আবশ্যিক কিছু তথ্য দিতে হয়। অনেক সময় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উল্লেখ করার মতো সাফল্য থাকলেও যে সকল তথ্য আবশ্যিকভাবে দিতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‌্যাকিংয়ে স্থান পাচ্ছে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের এ সম্পর্কে জানতে করতে হবে।’ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উচ্চাশিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাবলিক ও প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় ১৫৯টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে প্রায় ৪৩ লাখ শিক্ষার্থী। এসব প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ওয়ার্ল্ড র‌্যাকিংয়ের বিভিন্ন শর্ত ও প্যারামিটার সম্পর্কে জানানো গেলে র‌্যাংকিংয়ে স্থান করে নেওয়ার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে তারা তা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করবেন।’ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স (এসপিকিউএ) বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন। টাইমস হায়ার এডুকেশন (টএইচই), এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক রিতিন মালহোত্রার সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসপিকিউএ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন। ইম্প্যাক্ট র‌্যাকিং বিষয়ে মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন টাইমস হায়ার এডুকেশন-এর চিফ নলেজ অফিসার ফিল ব্যাটি, এমডি কনসাল্ট্যান্সি এলিজাবেথ শেফার্ড এবং ডাটা এনালিসিস অফিসার হানাহ পিকক।