ইসরাইল-সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি চান না ওকাসিও-কর্টেজ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলীয় কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেটে সংশোধনী প্রস্তাব এনেছেন। এই প্রস্তাব পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল ও সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করা সম্ভব হবে। মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিরক্ষা বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ বলেন, এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেটের আলোচনায় তিনি মোট সাতটি সংশোধনী প্রস্তাব এনেছেন। এর অংশ হিসেবে সাংবাদিক জামাল খাশগজিকে হত্যার জন্য সৌদি সরকার, বিক্ষোভকারীদের নৃশংসভাবে দমনের জন্য কলম্বিয়া সরকার এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোক ও মিডিয়া সেন্টার লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণের কারণে ইসরাইলি সরকারের কাছে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে।
The amendments also include one of several measures to crack down on program 1033, which allows US military to transfer weapons and military equipment to local police depts – including items like grenade launchers.
We must stop the militarization of local police departments.
— Alexandria Ocasio-Cortez (@AOC) September 17, 2021
চলতি বছরের মে মাসে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সাথে দ্বন্দ্বের জেরে আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি বাহিনী। টানা ১১ দিনের আগ্রাসনে গাজার নারী ও শিশুসহ ২৫০ জনের বেশি বাসিন্দা নিহত হন এবং আরো এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হন। ইসরাইলি হামলায় গাজার মিডিয়া সেন্টার হিসেবে খ্যাত ‘আল-জালা ভবন’ ধ্বংস হয়। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপির আঞ্চলিক কার্যালয়সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের স্থানীয় কার্যালয় ওই ভবনে ছিলো। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক হিসেবে পরিচিত নির্বাসনে থাকা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়। তুর্কি নাগরিক ও গবেষক খাদিজা জেঙ্গিসকে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে সৌদি কনস্যুলেটে গেলে তাকে হত্যা ও লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমে হত্যাকাণ্ডের বিষয় অস্বীকার করলেও পরে তারা জানায়, কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুর্ঘটনাক্রমে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ওই সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে বিচারের আওতায় আনা হয়।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর