পণ্যের বরাদ্দ কমিয়ে সময় বাড়ালো টিসিবি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ট্রাক প্রতি পণ্য বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্তে কম দামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনতে এসে অনেক গ্রাহক ফিরে যাচ্ছেন।
গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। কিন্তু এবার সময় বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে ট্রাক প্রতি পণ্যের বরাদ্দ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) শ্যামলী পয়েন্টে ট্রাক প্রতি বরাদ্দ কম থাকায় অনেক গ্রাহক কম দামে পণ্য কিনতে এসেও শূন‌্য হাতে ফিরে গেছেন। কেউ কেউ লাইনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। টিসিবি’র পণ্য না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডিলার জানান, আগে ট্রাকপ্রতি এক হাজার লিটার থেকে ১২০০ লিটার তেল বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখন দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৭০০ লিটার। আগে চিনি বরাদ্দ দেওয়া হতো ৭০০ কেজি এবং ও ডালের বরাদ্দ দেওয়া হতো ৬০০ কেজি। এখন চিনি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৫০০ কেজি এবং ডাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৪০০ কেজি। যা চাহিদার চেয়ে অনেক কম।
তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে নতুন করে বরাদ্দ শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রাহকদেন নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন পণ্যেও দাম বেড়ে যাওয়ায় আগে যারা ট্রাকের কাছে আসতেন না তারাও ভিড় করছেন। ফলে একদিকে চাহিদা বাড়ছে কিন্তু টিসিবি পণ্যেও বরাদ্দ না বাড়িয়ে কমিয়ে দিয়েছে। আর সে চাপ আমাদের সইতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এ দফায় দুই সপ্তাহ পণ্য বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু আমরা সময় বাড়িয়ে বরাদ্দ কমিয়ে সে কার্যক্রম চার সপ্তাহ করেছি। আর মজুদের ওপর ভিত্তি করে বরাদ্দ বাড়ানো কমানো হয়ে থাকে।’
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এ দফায় দেশজুড়ে টিসিবির ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
এসব ট্রাকে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে চিনি ও ডাল এবং ১০০ টাকা দরে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে সব পণ্য। একজন ব্যক্তি দৈনিক দুই থেকে চার কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই থেকে পাঁচ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে পারছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর চালু হওয়া টিসিবি’র ট্রাকসেল চলবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার উদ্দেশ্যে টিসিবি এ কার্যক্রম চালু করে।