যশোরে ভারতীয় পণ্য বর্জন বাড়ছে

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাব পড়েছে যশোরে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন তাদের দোকানে ভারতীয় পণ্যের বিক্রি বর্তমানে অর্ধেকেরও বেশি নেমে এসেছে। ভারত বাংলাদেশের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে- এর প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ ভারতীয় পণ্য বর্জন করে চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারত অবৈধ হস্তক্ষেপ করছে। এ কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন জোরদার হয়েছে।
‘বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস’ হ্যাশট্যাগে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই যোগ দিয়েছেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এক্সে (টুইটার) বেশির ভাগ পোস্টদাতা বলছেন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করেছে ভারত। তাই তারা বাংলাদেশিদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর এর পরপরই শুধু দেশে নয়, বিদেশে বসবাবসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের চিত্র ফুটে উঠেছে ওই সব সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।
আন্দোলকারীদের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ প্রায়ই সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। তারা একের পর এক বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের নদীগুলোকে শুকিয়ে ফেলছে। এসব কারণে শুধু প্রচার মিডিয়ায় নয় দেশের মানুষ ভারতীয় পণ্য বর্জনে এগিয়ে এসেছে।
আর এর প্রভাব যশোরেও এসে পড়েছে। ভারতীয় পণ্যের বিক্রি অর্ধেকেরও বেশি নেমে এসেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভারতীয় প্রসাধনী বিক্রি বেশ কমে গেছে। ক্রেতারা এসে বাংলাদেশি পণ্য বেশি বেশি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বড় বাজার হাটচান্নি মসজিদ মার্কেটের খুচরা প্রসাধনী
বিক্রেতা শেখ রেজাউল করিম এ প্রতিবেদককে জানান, ক্রেতারা এখন বাংলাদেশি পণ্য কিনছেন। তিনি জানান, ভারতীয় পন্ডস, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি, ডাব শ্যম্পুর বদলে ক্রেতারা দেশি শ্যাম্পু,কদুরতেল, গন্ধরাজ তেল, জুঁই তেল কিনছেন। তিনি জানান, রোজার আগে থেকে তার দোকানে ভারতীয় পণ্যের বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
শহরের চুড়িপট্টি হাজি আব্দুল করিম রোডের পাইকারি প্রসাধনী বিক্রেতা এ রহিম ট্রেডার্সের অন্যতম স্বত্বাধিকারী আব্দুর রব জানান, তার দোকানে ভারতীয় পণ্যের সেল
অর্ধেক কমে গেছে। ক্রেতারা বাংলদেশি পণ্য খুঁজে না পেলে অন্য দেশের পণ্য কিনছেন। বিশেষ করে দুবাই, চায়না, সৌদি আরবের তৈরি পণ্য কিনছেন। তিনি জানান, দেশীয় কোম্পানিগুলো যদি ভালো প্রোডাক্ট দিতে পারে তাহলে ক্রেতার সংখ্যা বহগুণ বাড়বে। আব্দুর রব আরও জানান, ভারতীয় শ্যাম্পু সানসিল্ক, ত্রিসমির বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশি মেরিল, কিউট, সৌদি আরবের ভাটিকা, ভারতীয় টুথপেস্ট কোলগেটের বদলে দেশি পেস্ট কিনছেন ক্রেতারা।