যশোর উপশহরে ভৈরব থেকে তোলা বালি হাউজিং বাংলোয় রেখে অবৈধ বাণিজ্য

0

মাসুদ রানা বাবু॥ হাউজিং এস্টেট যশোরের পরিদর্শন বাংলোর মধ্যে রাখা যশোর ভৈরব নদ থেকে উত্তোলন করা বালি অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দপ্তরটির কর্মকর্তা এই বাণিজ্যের নেপথ্যের রয়েছেন। তিনি স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের সাথে নিয়ে বালি বিক্রি করছেন। যশোর শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদের খনন কাজে উপশহর ঢাকা রোড সেতু এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজিং করা হয়। ড্রেজিংয়ের সময় পাইপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে হাউজিং এস্টেট যশোরের পরিদর্শন বাংলোর মধ্যে রাখা হয়। প্রায় চার বিঘা জায়গা জুড়ে অবস্থিত পরিদর্শন বাংলো। বাংলোর মধ্যে অবস্থিত বাড়ি ব্যতিত ফাঁকা স্থান বালুতে পূর্ণ হয়ে যায়। বালির উচ্চতা কোথাও ছয় ফুট কোথাও ছয় ফুটের বেশি। এক মাসের অধিক সময় ধরে চলছে এই বালি বিক্রির কার্যক্রম।


যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, নদ খননের বালি বা মাটি বিক্রির এখতিয়ার টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়া কারো নেই। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, হাউজিং এস্টেট যশোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমাদুল ইসলাম তুহিনের যোগসাজসে এই বালি বিক্রি করা হচ্ছে। এর সাথে জড়িত জেলা ছাত্রলীগের এক প্রভাবশারী নেতাসহ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধি। প্রতিদিন শতাধিক ট্রলি বালি বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রলি বালি ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। হাউজিং বাংলোর প্রাচীরের পাশে রয়েছে সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আশ্রিত ক্যাডার ও কিশোর গ্যাংয়ের মহড়া। দিনে যতো সময় বালি বিক্রির কার্যক্রম চলে, তত সময় ধরে তাদের এই মহড়া চলে। অর্থাৎ, এই ক্যাডার ও কিশোর গ্যাং অবৈধ এ বাণিজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। আর দূর থেকে অবৈধ বাণিজ্যের মূল নায়করা তদারকি করে। বালি বিক্রির বিষয়েয় যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নদ খননের বালি বা মাটি বিক্রি করার এখতিয়ার অন্য কারও নেই। এটি যথাযথ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির আইন রয়েছে। যদি কেউ এভাবে বালি বিক্রি করে তবে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম, আমি দ্রুত খোঁজ নিচ্ছি। হাউজিং এস্টেট যশোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমাদুল ইসলাম তুহিন ফোনে এই প্রতিবেদককে বালি বিক্রির সাথে তার জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, যারা বালু রেখেছিল তারাই সরিয়ে নিচ্ছে। পরক্ষণে তার ফোনের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরিফুর রহমান সাগর এই প্রতিবেদকের নাম্বারে ফোন দিয়ে বলেন, আপনি হাউজিংয়ের কর্মকর্তার কাছে ফোন দিয়েছিলেন? আপনার কাছে কে বালি বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ করেছে? আপনার সাথে আমার সরাসরি দেখা হবে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে।