সরকারের চেইন অব কমান্ডের সেই সময়-এই সময়

0

গোলাম মাওলা রনি
সেবার কী যে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম তা আপনাদেরকে বোঝাতে পারব না। বাংলাদেশের একটি প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিক তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যানার হেডলাইনে একটি খবর প্রকাশ করল। সেখানে বলা হলো- ‘এমপি রনির অভিযোগ-প্রধানমন্ত্রীর কোনো চেইন অব কমান্ড নেই।’ খবরটি যেদিন প্রকাশ পেলো সেদিন সংসদ অধিবেশন চলছিল এবং সেই সময়ে সংসদে ও বাইরে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল খুবই সক্রিয় ও সরব ছিল। সরকার জনমতের তোয়াক্কা করত এবং পত্রপত্রিকায় কী সব খবর বেরুল তা নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকত। সরকারবিরোধী পত্রিকাগুলোর খবর যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করা হতো এবং টেলিভিশনের টকশো, সভা-সমিতি-সেমিনারের বক্তব্য এবং রাজপথের খুঁটিনাটি বিক্ষোভগুলো সামনে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার জন্য সরকার-প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে তটস্থ থাকত। যে সময়ের কথা বলছি সেটি সম্ভবত ২০১০ কিংবা ২০১১ সাল। যখন সৈয়দ আবুল হোসেন যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন এবং সংস্থাপন সচিব হিসেবে ইকবাল মাহমুদ কর্মরত ছিলেন। আমার এলাকায় কর্মরত একজন ইউএনওর দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে আমি সচিব ইকবাল মাহমুদের রুমে ঢুকলাম। ভদ্রলোকের সাথে আমার পূর্বপরিচয় ছিল না। কিন্তু আমার মুখে বিস্তারিত শুনে তিনি অধীনস্থ ও অধস্তন কর্মকর্তার কুকর্মে যারপরনাই লজ্জিত ও ব্যথিত হলেন এবং সাথে সাথে তাকে দূরতম দুর্গম এলাকাতে বদলি করে দিলেন। একজন জনপ্রতিনিধি হাজারো তদবির করে শত শত টন সার ও বিভিন্ন ফসলের বীজ তার নির্বাচনী এলাকায় বিনামূল্যে বিতরণের জন্য নিয়েছেন এবং সেসব সামগ্রী সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করে গোপনে বিক্রি করতে গিয়ে দরিদ্র কৃষকদের হাতে ধরা খেয়ে যখন গণপিটুনি খাবেন সেই সময় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে সরকারি কর্তাকে রক্ষা করেছেন। এটা শুনে সংস্থাপন সচিব আমার প্রতি বিশেষভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেন। তিনি উল্লিখিত কর্মকর্তার বদলির আদেশ আমাকে বসিয়ে চা-নাশতায় আপ্যায়িত করার ফাঁকে সেরে ফেললেন এবং কথা প্রসঙ্গে তার দফতরের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে থাকলেন। এমন সময় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তার টেবিলে জরুরি একটি ফাইল এলো যা কিনা বিধিমোতাবেক এক কর্মদিবসের মধ্যে আসার নিয়ম। অথচ ফাইলটি এসেছে প্রায় ৬০ কর্মদিবস পর। এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি যখন আফসোস করছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তৎকালীন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা তাকে বললাম। তিনি আমার কথা শুনে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়লেন এবং তার বিশ্বস্ত অধস্তন একজন যুগ্ম সচিবকে ডেকে আনলেন আমার কথা শোনার জন্য, যিনি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সচিব পদে নিযুক্তি পেয়েছিলেন।
সচিব ইকবাল মাহমুদের কামরা থেকে বের হওয়ার পর আমার মধ্যে একধরনের মনোবেদনার সৃষ্টি হলো। আমার মন-মস্তিষ্কে যেটি ঘুরপাক খাচ্ছিল সেটি হলো- জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের একাংশ যেমন রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠতা নিয়ে অবিরত পরিশ্রম করেন তেমনি দুর্নীতিবাজরা সেই শ্রমকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়ার জন্য অবিরত অপকর্ম চালিয়ে যায়। আমার এই চিন্তা সেই রাতে বিস্ফোরিত হলো চ্যানেল আই ‘তৃতীয় মাত্রা’র টকশোতে এবং টকশোর বক্তব্যের সাথে টক-ঝাল-মিষ্টি এবং সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক এমনভাবে খবর প্রকাশ করল, যার কারণে সরকারি মহলে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হলো। ঘটনার দিন সকালে আমি যখন পত্রিকার শিরোনাম দেখলাম তখন রীতিমতো প্রমাদ গুনলাম। পত্রিকায় যেভাবে লিখা হয়েছে তাতে এ কথা স্পষ্ট যে, আমাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করার বিশাল কর্মযজ্ঞ চালানো হয়েছে। তখনকার ঘটনায় যেহেতু পত্রপত্রিকার যেকোনো রিপোর্টকে আমলে নেয়া হতো তাই বিষয়টি নিয়ে যে, আমাকে জবাবদিহি করতে হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। অধিকন্তু রিপোর্টে যেহেতু সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে আমার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে সেহেতু অনেক অতি উৎসাহী লোক ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবে এমন সম্ভাবনা মাথায় রেখে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হলাম। সংসদে আমি হাজির হওয়া মাত্র টের পেলাম, যেমনটি আশঙ্কা করেছিলাম সার্বিক পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়ঙ্কর। আমি অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করা মাত্র চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ দৌড়ে এলেন। আমার আসনের সামনে এসে ভয়ার্ত গলায় বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সালাম দিয়েছেন। অধিবেশনের পর তার সাথে দেখা করে যাবেন।’ সালাম শব্দের অর্থ- ‘শান্তি’ হলেও সেদিন মনটা কেমন অশান্ত হয়ে পড়েছিল এবং কি পরিমাণ অশান্তির বোঝা যে আমার দেহ-মন-মস্তিষ্কে চেপে বসেছিল তা বর্ণনা করার মতো ভাষাজ্ঞান আমার নেই। ফলে অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে আমার শরীর মনে এমন সব রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটছিল যা স্মরণ করলে আজো শিহরিত হই। এই সময়ে কী চিন্তা করেছিলাম অথবা কী কী করেছিলাম তা আজ মনে করতে না পারলেও একটি অদ্ভ‚ত বিষয় ভুলতে পারিনি। আমি লক্ষ করলাম, বারবার আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। আমি তৃষ্ণা নিবারণের জন্য ঘন ঘন পানি পান করছিলাম কিন্তু মনে হচ্ছিল- পানি পাকস্থলীতে না ঢুকে সরাসরি মূত্রথলিতে ঢুকে যাচ্ছিল এবং আমাকে জল বিয়োগের জন্য সাথে সাথে বাথরুমে যেতে হচ্ছিল। সেদিন অধিবেশনের পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার সাক্ষাৎ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি বিস্তারিত বলতে গেলে বিরাট এক উপাখ্যান হয়ে যাবে। সুতরাং সে ব্যাপারে বিস্তারিত না বলে সংক্ষেপে ঘটনার সারাংশ বর্ণনা করছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ইংরেজিতে প্রশ্ন করলেন What do you mean by Prime Minister’s chain of command? আমি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিস্তারিত বললাম এবং তিনি যা বুঝে নেয়ার তা বুঝে নিলেন। তারপর আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়ে সেদিনের ঘটনাটির ইতিবাচক নিষ্পত্তি ঘটালেন এবং তিনি এসব করেন তার লবিতে এসে অন্তত শ’দুয়েক মন্ত্রী-এমপির উপস্থিতিতে! সে দিনের ঘটনার পর আমি যথেষ্ট সতর্কতার সাথে টকশোতে কথা বলতাম এবং পত্র-পত্রিকাতে লিখতাম। ফলে পরবর্তীতে, আমার জন্য উল্লিখিত অস্বস্তিকর ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটেনি। যে কথা বলার জন্য এত বড় ভ‚মিকা টানলাম সেটি হলো- ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল অবধি বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো, জনপ্রতিনিধি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যে রসায়ন ছিল তা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি ছিলাম না। কিন্তু যদি ওই সময়ের সার্বিক অবস্থার সাথে বর্তমানের অবস্থা তুলনা করি তবে মনে হয় সেই দিনগুলো বর্তমানের তুলনায় হাজারগুণ নয়- লক্ষগুণ ভালো ছিল। তখনকার ওসি-ইউএনওরা স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে গিয়ে ঔদ্ধত্য দেখাবেন, এটা কল্পনাও করা যেত না। এসপি-ডিসিরা অত্যন্ত সংযত আচরণ করতেন। সংসদ সদস্যদের মধ্যে যদি অর্ন্তদ্ব›দ্ব থাকত অথবা কোনো সংসদ সদস্য যদি লেখাপড়ায় একটু পেছানো থাকতেন অথবা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানে থাকতেন তাহলে এসপি-ডিসিরা তাদেরকে ‘স্যার’ না বলে ‘এমপি সাহেব’ বলতেন। কিন্তু ভুলেও অপমানজনক কোনো আচরণ করতেন না। অন্য দিকে যে সব সংসদ সদস্য যোগ্যতাসম্পন্ন, সাহসী এবং স্পষ্টবাদী ছিলেন তাদের সাথে ডিসি-এসপি তো দূরের কথা- সচিবরা পর্যন্ত অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করতেন। এমপিদের মধ্যে যাদের উপর মহলের যোগাযোগ ছিল তাদের বাসা-অফিসে বড় বড় আমলা এসে ধরনা দিতেন বিভিন্ন তদবিরের জন্য। এর বাইরে মন্ত্রী-এমপিদের সম্পর্কও ছিল উল্লেখ করার মতো। সংসদীয় কমিটিগুলো খুবই সক্রিয় ছিল এবং সেখানে মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হতো। বেশির ভাগ কমিটি মিটিংয়ে মন্ত্রী-সচিবরা বেশ তুলোধোনা হতেন। মিটিংয়ে যেসব সচিব কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতেন তারা এমপিদেরকে ‘স্যার স্যার’ বলতে গলদঘর্ম হতেন। কোনো কোনো এমপি এতটাই ক্ষমতাবান ছিলেন যে, তাদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য স্বয়ং মন্ত্রীরা চেষ্টা-তদবির করতেন। সংসদীয় কমিটির বাইরে জাতীয় সংসদও ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত। বিশেষত, জনাব আবদুল হামিদ যতদিন স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ততদিন সংসদের কার্যক্রম ছিল উল্লেখ করার মতো এবং স্পিকার হিসেবে তার কার্যকাল এই দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে বিরাট এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। অন্য দিকে সরকারের ‘হৃৎপিণ্ড’ বলে পরিচিত সচিবালয়ও ছিল কর্মমুখর, নিয়মতান্ত্রিক এবং প্রাণবন্ত। মন্ত্রীদের মধ্যে মহিউদ্দীন খান আলমগীর, মতিয়া চৌধুরী এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম যেভাবে মন্ত্রণালয় চালাতেন তা এ যুগে কল্পনাও করা যায় না। তাদের অধীনস্থ সব অফিসে তাদের কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ ছিল শতভাগ। সচিব বা দলবাজ আমলা এই তিন মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে টুঁ শব্দ উচ্চারণ করবে এ কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। অন্য দিকে সৈয়দ আবুল হোসেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, ডা: রুহুল হক, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ মন্ত্রীরা অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে নমনীয়ভাবে মন্ত্রণালয় চালাতেন এবং কোনো আমলা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করবে এমনটিও কল্পনা করা যেত না। মন্ত্রীদের নিয়মিত অফিসে আগমন এবং কর্মকর্তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার ও মন্ত্রণালয়ের সফলতা নিয়ে অনাগত দিনে যদি নবম সংসদকেন্দ্রিক কোনো ইতিহাস রচিত হয়, সেখানে সবচেয়ে সফল মানুষটি হবেন বহুল আলোচিত ও বহুল সমালোচিত সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। আজ এত বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের সেই সময়ের চেইন অব কমান্ডের কথা মনে পড়ল হাল আমলের আমলাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি, পুলিশ রাজের দাপট, স্পর্শকাতর রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর দৃষ্টিকটু অনৈতিক ও অকল্পনীয় দুর্নীতি-অনাচার-অবিচারের জাঁতাকলে পিষ্ট মজলুমের আর্তচিৎকারের গগনবিদারী আহাজারির কারণে। ইউএনওর মতো সিভিল সার্ভিসের একজন অধস্তন কর্মকর্তার সাথে মন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন জনপ্রতিনিধির বিরোধ, ডিসির পদমর্যাদাসম্পন্ন মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের দাম্ভিকতা এবং আঙুুল উঁচিয়ে নিজেদেরকে ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে পুরো রাজনৈতিক সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ জানানোর দৃশ্য যখন বিভিন্ন মাধ্যমে দেখি তখন বুঝতে পারি, হাল আমলে আওয়ামী সরকারের ‘চেইন অব কমান্ড’ কোন পর্যায়ে রয়েছে। এই কমান্ড কি আকাশ-বাতাস-ফুঁড়ে মঙ্গল গ্রহের প্রান্তসীমায় পৌঁছে গেছে নাকি শনিগ্রহের ভেতরে ঢুকে পড়েছে তা নিয়ে যেমন গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি এটাও গবেষণার বিষয় হওয়া উচিত যে, উপরের দিকে অর্থাৎ ঊর্ধ্বসীমায় বিস্তৃতির পাশাপাশি নিম্নস্তরের কোন পর্যায়ে চেইন ও কমান্ড শিকড় গেড়েছে। কমান্ড কি প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা অলিম্পাসের জ্বালামুখ ভেদ করে একেবারে ভেতরে গিয়ে জ্বলন্ত ম্যাগমার স্তরে নাড়াচাড়া দিচ্ছে নাকি সেখানেও কোনো অস্থিরতা পয়দা করছে, তা সরেজমিন তদন্ত ও গবেষণা করে দেখা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য