বীরমুক্তিযোদ্ধা ৪ দিনেও পাননি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মশিয়ার রহমান (৭৫) নামে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা চারদিনেও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাননি। ফলে, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ি তারা উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় যেতে বিলম্ব হচ্ছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মশিয়ার রহমান (৭৫) নামে ওই বীরমুক্তিযোদ্ধাকে গত ২৯ জুলাই দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ভর্তি করা হয়। রোগীর তার রেজিস্ট্রেশন নং-৩০৫৩৫/২৯। তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হতে প্রথমে দেয়া হয় পুরুষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩১ জুলাই তার করোনা পরীক্ষার নমুনা নেয়া হয়েছে। সিটিস্ক্যান করার পর করোনা সন্দেহ না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক বীরমুক্তিযোদ্ধা মশিয়ার রহমানকে ৩১ জুলাই পুরুষ আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন। মেডিসিন ওয়ার্ডে বেড না পাওয়ায় তাকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় সার্জারি ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ৯নং বেড রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। মশিয়ার রহমানের ছেলে আলামিন জানিয়েছেন, এ অবস্থায় রাতে মশিয়ার রহমানকে দ্বিতীয়তলা থেকে পুনরায় পুরুষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ১ আগস্ট আলামিন, বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামানের কাছে যান এবং বলেন, তার পিতা (মশিয়ার রহমান) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে হয়রানী হচ্ছেন। তাকে একবার পুরুষ করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে, একবার পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে আবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। আলামিন মৌখিকভাবে এ অভিযোগ করার পর তত্ত্বাবধায়ক তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিয়ার রহমানকে ২য় তলায় সংরক্ষিত ৯ নং বেডে স্থানান্তর করেন। আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত বেডে আনা হয় ১ আগস্ট। আলামিন জানিয়েছেন, তার পিতার শরীরে নানা সমস্যা। চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু করোনা পরীক্ষার সনদ ছাড়া চিকিৎসকগণ তাকে ঢাকায় গ্রহণ করবেন না। অথচ, ৪ দিনেও তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তিনি দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনি সব সময় আন্তরিক। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না। যে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আজ কাল এসে যাবে।