বন্ধের পর চৌগাছায় পশুহাট চালু ক্রেতা বিক্রেতার ব্যাপক সমাগম

0

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ করোনা মহামারির কারণে লকডাউনে যশোরের চৌগাছার পশুহাট বন্ধ থাকার পর রোববার চালু হয়েছে। এদিকে ঈদুল আযহার আগে হাটটি চালু হওয়ায় সকাল থেকেই পশুর সমাগম ঘটতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাজির হতে থাকেন বিক্রেতারা। এ অবস্থায় উপস্থিতি সামাল দিতে হাটকর্তৃপক্ষকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে।
মাসাধিককাল প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় চৌগাছার পশুহাট। ঈদের মাত্র তিন দিন আগে রোববার হাট চালু হয়। হাট বসছে এমন খবরে খুব সকাল থেকেই ক্রেতা বিক্রেতার ব্যাপক উপস্থিতি ঘটে। হাটের মূল জায়গা ছাড়িয়ে পশু বেচাকেনা চলে আশপাশের বিভিন্ন খালি জায়গাতেও। যশোরের বিভিন্ন উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলা উপজেলা হতেও পশু ক্রেতা ও বিক্রেতা উপস্থিত হন। তবে পশুর দাম নিয়ে উভয় পক্ষরই নানা অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের পাশে এই হাট বসানোর কারণে ওই সড়কে সকাল ৯ টা হতে যানজটের সৃষ্টি হয়। দিনের বেশির ভাগই সময় একই অবস্থায় চলতে থাকে। হাট কর্তৃপক্ষ হাটের প্রবেশ মুখে প্রচার মাইকে ক্রেতা বিক্রেতাকে মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট এলাকা পরিদর্শন করা হয়।
পৌর এলাকার রমজান আলী জানান, কুরবানির জন্যে একটি গরু কিনতে এসেছিলেন কিন্তু বিক্রেতারা দাম হাকাচ্ছে অনেক বেশি। মশলেম আলী বলেন, একটি গরুর দাম সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার টাকা হবে, সেই গরুর দাম হাকাচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে গরু কেনা নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।
গরু বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি ২টি গরু পালন করেছেন। এক একটি গরুর পিছনে কত ব্যয় যে ব্যক্তি গরু পালন করেন সেই ভাল জানেন। কিন্তু কাঙ্খিত দাম হচ্ছে না। এদিকে হাটে অসংখ্য ছাগলের সমরোহ ঘটে। ছাগলের দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই খুশি। ১২ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক একটি ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হাট কর্তৃপক্ষ বলেন, দীর্ঘদিন হাট বন্ধ থাকার কারণে দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন গরু পালনকারীরা। অবশেষে হাট বসায় খুশি বিক্রেতারা তবে দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে নানা প্রশ্ন।