ঈদের বাজারে না আছে সচেতনা, না আছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত থামছেনা যশোরে। ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে জেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি। রোববার ২৪ ঘণ্টায় যশোরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একইসময় জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫৩ জনের। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেহেনেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৮১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় পাঁচজন, জিন এক্সপার্ট টেস্টে ছয়জনের নমুনা পরীক্ষায় দুজনের ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ।
একইসময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৯ জনে। এদিকে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৯৯৬ জনের ও সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮২ জন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, যশোর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১৯৯ জন। এরমধ্যে করোনা ইউনিটের রেডজোনে ১৩৪ জন ও ইয়েলোজোনে ৬৫ জন রয়েছেন।
এদিকে জেলায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত যখন বেড়েই চলছে ঠিক তখনি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঈদের বাজারে মানুষের যত্রতত্র চলাফেরা বাড়ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে সর্বাত্মক সচেতনতায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মুখে মাস্ক পরে বাইরে আসার কথা বলা হলেও যশোর শহর ও আশপাশের বাজারগুলোতে ঘুরে তার ন্যুনতম চিত্র দেখা যাচ্ছে না। বরং স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে মানুষ যে যার মতো বাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। শহরতলী ও গ্রাম এলাকার মানুষের ¯্রােত এখন শহরমুখী হওয়য় মানুষের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
রোববার বেলা ১ টার দিকে যশোর এমএম আলী রোড ও আরএন রোড এলাকায় ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপে অসহনীয় জটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির মুখপাত্র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে জেলায় প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষকে বাধ্য করতে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে সার্বক্ষনিক কাজ করছে। যেখানে অসঙ্গতি দেখছে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, এ মুহুর্তে সবার জন্য জরুরি হয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। আগে জীবন তারপর অন্য কাজ। এরপরও মানুষ অসেচতন অবস্থায় বাইরে আসছে। যা খুবই দুঃখজনক।