পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন প্রস্তাব অনুমোদিত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত লভ্যাংশের অপরিশোধিত অংশ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহারের লক্ষ্যে গঠিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ বা ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’র বোর্ড অব গভর্ন্যান্স গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।বুধবার অনুষ্ঠিত ৭৮১তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এর আগে চলতি বছরের ৩ মে কমিশন সভা করে এ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। আর গত ২৭ জুন এই তহবিলের গেজেট প্রকাশ করা হয়।
তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিতরণ না হওয়া প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লভ্যাংশ নিয়ে এই তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ তহবিলটি পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ও প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিভিন্ন কোম্পানির অবিতরণ করা লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে তিন বছরের অধিক সময় পড়ে থাকা অর্থ-শেয়ার এই তহবিলে স্থানান্তর করা হবে। তিন বছরের হিসাব হবে লভ্যাংশ ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে। এক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে দিতে হবে।
তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্নিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্নিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
তহবিল থেকে বাজারের তারল্যপ্রবাহ এবং গভীরতা বাড়াতে শেয়ার কেনাবেচা বা ধার দেয়া বা ধার নেয়া হবে। শেয়ার কেনাবেচা করতে গিয়ে যাতে তহবিলের কোনো লোকসান না হয়, তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করা হবে, থাকবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটি।
শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দিতে গঠন করা তহবিলটি ব্যবস্থাপনায় ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্ন্যান্স থাকবে। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও ৩ জন সদস্য থাকবেন, যাদের মনোনিত করবে বিএসইসি।
এতে বিএসইসি থেকে ৪ জন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) থেকে একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন।
এছাড়া একজন প্রফেশনাল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারি বা চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট এবং একজন চিফ অব অপারেশন (সিওও) থাকবেন।
এদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে অবণ্টিত লভ্যাংশ আছে তাদেরকে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে তা এই তহবিলে জমা দিতে বলেছে বিএসইসি। কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখার হিসাবে এই অর্থ জমা দিতে হবে।
সেই সঙ্গে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশ বিতরণের রিপোর্ট এবং সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। এসব তথ্যের একটি কপি বিএসইসি, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এর কাছে জমা দিতে হবে।