বড়বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া, ভরা মৌসুমেও কমেনি ইলিশের দাম

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। যশোরে সবজির বাজারে উত্তাপ মোটেও কমেনি। কমেনি মুরগি ও ডিমের দাম। ভারী বর্ষা হলেও বাজারে ইলিশের আমদানি বাড়েনি, এখনও বাজার গরম। এ সপ্তাহেও আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম অপিরিবর্তিত রয়েছে। মাসখানেক ধরে স্থিতিশীল রযেছে চালের বাজার।  শুক্রবার বড়বাজার ঘুরে এমন চিত্র মেলে।
শুক্রবার বড়বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হতে দেখা যায় ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, গাজর ১৮০ থেকে ২০০টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা,উচ্ছে ৮০ টাকা, ওল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুখিকচু ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। খুচরা বিক্রেতা নাসির আলী জানান, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজির আমদানি কম। আড়তদার জহিরুদ্দিন কাজল জানান, সবজির দাম বেশি হওয়ার কারণে বাজারে বিক্রি কমে গেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে খামারের ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানুষের চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।  শুক্রবার বড়বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। ক্রেতা জনৈক রেজাউল সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি দেখছেন ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়লে খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দেন। এদিন খামারের মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহেও বাজারে ডিমের দাম ৫০ টাকা ছিল।
বর্ষাকাল আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি হয়নি। ভাদ্রের প্রথম সপ্তাহে এসে মাঝে-মধ্যে ভারী বর্ষা হলেও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলছে না। ইলিশের এই ভরা মৌসুমেও রসনাপ্রিয় বাঙালিকে অনেক বেশি দাম দিয়ে ইলিশ কিনতে হচ্ছে। বড়বাজার মাছবাজারে  শুক্রবার দেড় কেজি সাইজের নদীর মিঠা পানির ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০০ টাকায়। এক কেজি ও এক কেজি ১০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ১৫০০ টাকা, ৬০০/৭০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ১৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া সাগরের লোনা পানির ইলিশ ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১৪০০ টাকা,৩টায় কেজি ইলিশ ৮০০ টাকা, ও ৫/৬ টায় কেজি ইলিশ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ক্রেতা ডলি বেগম জানান, আমরা নদী ও সাগরের ইলিশের পার্থক্য বুঝি না, তাই অসাধু বিক্রেতাদের কাছ থেকে ঠকার সম্ভাবনা বেশি।
বাজারে এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার বড়বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। কয়েক সপ্তাহ ধরে আলুর কেজি ৪০ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাসখানেক ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বড়বাজার চালবাজারে গতকাল শুক্রবার মোটা নূরজাহান চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, আমদানি করা থাইল্যান্ডের চাল (চিকন লম্বাটে) ৪৪ টাকা, বাংলামতি ৬০ থেকে ৬৪ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, কাজললতা ৫০ থেকে ৫২ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৫৬/৫৭ টাকা আর বিআর-২৮ চাল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চাল বিক্রেতা সুশীল কুমার বিশ^াস জানান, টিসিবি, ওএমএসসহ স্বল্পমূল্যে সরকারের চাল বিভিন্ন স্থানে বিক্রির কারণে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।