ইউরো : লড়াই হবে মাঝমাঠে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ স্ট্রাইকাররা গোল করেন আর ডিফেন্ডাররা গোল ঠেকান। আপাতত সাদা চোখে ফুটবল মাঠের চিত্রটা এমনই। কিন্তু খেলেন কে? সহজ উত্তর, মিডফিল্ডাররা। মূলতঃ প্রতিটি দলের খেলাই তৈরি করে দেন মিডফিল্ডাররা। এ কারণে বলা হয়, যে দলের মিডফিল্ড যতটা শক্তিশালী, সে দল ততটাই ভালো এবং চূড়ান্ত সাফল্যের সম্ভাবনা তাদেরই বেশি। করোনাভাইরাসের কারণে একবছর পিছিয়ে যাওয়া ইউরো কাপেও এবার খেলা হবে মাঝমাঠ দখলের। মাঝমাঠ দখলে যত বেশি রাখা যাবে, তত গোল দেয়ার সুযোগ তৈরি হবে, চ্যাম্পিয়নশিপের সম্ভাবনা থাকবে। এবারের ইউরোয় বেশ কয়েকজন মিডফিল্ডার রয়েছেন, যারা মাঠ মাতাতে মুখিয়ে রয়েছেন। তেমনই কয়েকজনকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো।
কেভিন ডি ব্রুইন
পরপর দুই বছর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগের সেরা ফুটবলারের শিরোপা জিতেছেন বেলজিয়ান তারকা মিডফিল্ডার। ম্যাচ রিডিং থেকে ডিফেন্স চেরা পাস, বল কন্ট্রোল থেকে ফিনিশিং, আধুনিক ফুটবলের কমপ্লিট মিডফিল্ড প্যাকেজ তিনি। বেলজিয়াম এবার যে কারণে ফেবারিট, তার অন্যতম উপাদান হলেন ডি ব্রুইন।
এনগোলো কন্তে
এনগোলা কন্তে এমন এক মিডফিল্ডার, যার ওপর ভর করে বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স, এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল চেলসি। বলা হচ্ছে এবারের ব্যালন ডি’অরও উঠতে পারে এনগোলা কন্তের হাতে। কোচ দিদিয়ের দেশমের হাতে সবচেয়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র এনগোলা কন্তে। মাঝ মাঠ দখলে রাখতে পারলে বিশ্বকাপের পর ইউরোও জেতার দাবিদার হতে পারে ফ্রান্স। সে ক্ষেত্রে তাদের বড় শক্তিই হচ্ছেন মিডফিল্ডের সেরা ফুটবলার এনগোলা কন্তে।
ব্রুনো ফার্নান্দেজ
ম্যানইউতে আসার পর সোলশায়েরের দলটাকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছেন এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। নিখুঁত পাস দিতে পারেন। আবার ফিনিশিংয়েও দুর্দান্ত ব্রুনো। মিডফিল্ডে যদি ব্রুনো সঠিক কাজটি করতে পারেন, তাহলে উপরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাজটা হয়ে যাবে সহজ। তখন পর্তুগাল হয়ে উঠবে আবারও শিরোপার দাবিদার। নিজে যেমন ভাল খেলেন, তেমন সহ খেলোয়াড়দের মধ্যেও লড়াকু মনোভাব ছড়িয়ে দেন ব্রুনো।
লুকা মদরিচ
গত বিশ্বকাপে বলতে গেলে একাই ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলেছিলেন। পরের বছর জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরা, ব্যালন ডি’অর সব কিছু। এখনও রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠের মূল ভরসা লুকা মদরিচ। বয়স হয়ে গেলেও, এখনও ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠের সবচেয়ে বড় ভরসা হলেন তিনি।
উপরের চারজন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের ওপরে নজর থাকবে এবারের ইউরোয়। জার্মানির লিয়ন গোরেৎজকা এবং কাই হ্যাভার্টজ, ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন, মেসন মাউন্ট এবং ডেক্লান রাইস, নেদারল্যান্ডসের ফ্রাঙ্কি ডি জং, ইতালির মার্কো ভেরাত্তি। এরা প্রত্যেকেই ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। মূলত, তাদের ওপর প্রত্যাশার চাপও বেশি।