পাল্টে যাচ্ছে ভারতীয়দের স্বর্ণ কেনার পদ্ধতি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারী করোনায় ভারতীয়দের স্বর্ণ কেনাকাটায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। আগে যেখানে বড় বড় জুয়েলারি শপ থেকে কেনাকাটা হতো, সেখানে এখন ছোট ছোট রিটেইল দোকান থেকে কেনাকাটা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ।
কল্যাণ জুয়েলার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক রমেশ কল্যাণারমণ বলেন, মহামারীর আগে থেকেই আগের পারিবারিক মালিকানাধীন জুয়েলারি শপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল ভারতীয়রা। করোনা মহামারীতে এটা আরো ত্বরান্বিত হয়েছে।
এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ভারতীয় গ্রাহকদের মধ্যে পরিবর্তনটা গত প্রান্তিকে আমরা আরো স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি। ছোট ছোট গহনা শপে কেনাকাটার জন্য আসা প্রথমবারের মতো গহনা ক্রয়কারীর সংখ্যা গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে স্বর্ণের চাহিদা দুই দশকের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য দাম কমা এবং চাহিদা বৃদ্ধিতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশ চাঙ্গা হয়েছিল স্বর্ণের বাজার। কেনাকাটার প্রকৃতি পরিবর্তন এবং বিয়ের কেনাকাটার ওপর ভর করে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কল্যাণ জুয়েলার্সের মুনাফা হয়েছিল ৫৪ শতাংশ। গত মার্চে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ছাড়ার পর কল্যাণের মূলধন সংগ্রহ হয়েছিল ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা ভারতের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ মূলধন সংগ্রহ। কল্যাণ জুয়েলার্সের শেয়ার ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারবার্গ পিনকাস এলএলসি ও সিঙ্গাপুর সরকার।
কেন স্থানীয় ছোট ছোট রিটেইল শপের প্রতি আস্থা বাড়ছে, সে বিষয়ে কমট্রেন্ডজ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের পরিচালক গুনাসেকর থিয়াগারাজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেশ বিশৃঙ্খল খাত হিসেবে পরিচিত জুয়েলারি শিল্পে আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে আঞ্চলিক ও ভারতীয় রিটেইল দোকানগুলো।
ভারতের অনানুষ্ঠানিক এ খাত নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পণ্য ও সেবা করের (জিএসটি) ডিজিটালাইজেশন, কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের কারণে ভারতের স্থানীয় চেইন শপ যেমন টাইটান, কল্যাণ ও মালাবার গোল্ডস অ্যান্ড ডায়মন্ডসের বাজার শেয়ার বেড়েছে।
কল্যাণ জুয়েলার্সের প্রায় ৬০ শতাংশ দোকানই দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সত্ত্বেও শিগগিরই স্বর্ণের চাহিদা চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদ তাদের। চলতি বছর ভারতে আরো ডজন খানেক দোকান চালুর পরিকল্পনা করছে কেরালাভিত্তিক এ চেইন শপ।