চুয়াডাঙ্গার দর্শনা দিয়ে ভারত থেকে ফিরেছেন ৮৮ জন, করোনা ১ জনের

0

রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে গত রোববার আরও ৮৮ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ। এ নিয়ে সপ্তম দিনে মোট ৫৪৭ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরলেন। দেশে আসা বাংলাদেশীদের মধ্যে এ নিয়ে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৯ জন। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি ইনস্পেক্টর জামাত আলী জানান, রোববার সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বাংলাদেশীরা দর্শনার জয়নগর চেকপোস্টে পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পিতাম্বরপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ, একই উপজেলার নাগুরী গ্রামের মোহাম্মদ বাহারের ছেলে রায়হান চৌধুরী, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুল্লীপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে হাসান আহম্মেদ, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল গ্রামের নূরুজ্জামানের মেয়ে মাহমুদা আখতার, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার শান্তিরচর গ্রামের কাইয়ুম মোড়লের ছেলে সবুজ মোড়ল গত ১৯ মে বুধবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন। এরা সবাই চুয়াডাঙ্গার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হোস্টেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তবে এদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। প্রত্যেকের নম্বরই একে অপরের সঙ্গে বদল হয়ে রয়েছে। এছাড়া প্রায় নম্বরই ভুল। তাদের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, এখানে আবাসনসহ অন্যান্য ব্যবস্থা ভাল থাকলেও খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। টাকার পরিমান বেশি নিলেও খাবার দিচ্ছে অত্যন্ত নি¤œমানের। অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, অনেক বাংলাদেশী একবারে দর্শনা চেকপোস্টে ঢুকে পড়ায় এদের মোবাইল ফোন নম্বরগুলো সংগ্রহ করতে সমস্যা হয়েছে। নি¤œমানের খাবার সরবরাহের ব্যাপারে তিনি বলেন, আগে একই হোটেল থেকে খাবার সংগ্রহ করার কারণে এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। এখন প্রত্যেকটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার একেকটি হোটেল থেকে খাবার সংগ্রহ করবে। এর ফলে আগের সমস্যা নিরসন হবে।