ঈদের পর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ ঈদের পর যশোরের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় আছে চাল, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, চিনি, খামারি মুরগি ও ইলিশ মাছ। শুক্রবার বড়বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ঈদের পর যশোরের বড়বাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে ১ থেকে ২টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শুক্রবার বাজারে স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪৩/৪৪ টাকা, কাজললতা ৪৭/৪৮ টাকা, বিআর-২৮ ৫০টাকা, মিনিকেট ৫২/৫৩টাকা, বাসমতি ৬০/৬২টাকা বিআর-৬৩ ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বোরো ধানের ভরা মৌসুমে বাজারে চালের দাম কমার পরিবর্তে বাড়ার বিষয়ে যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ^াস লোকসমাজকে বলেন, ঈদের সময় অধিকাংশ চালকল ও চাতাল বন্ধ ছিল। এ কারণে বাজারে চালের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি পড়ে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে জুন মাসের মাঝামাঝি বাজারে চালের দাম কমে আসতে পারে।
এদিকে বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি আলুতে ৩টাকা পর্যন্ত বেড়ে গতকাল শুক্রবার ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজের কেজিতেও বেড়েছে ৫টাকা। গতকাল দেশি ভাতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। বিক্রেতা জয়দেব সাহা জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের কারণে পণ্য সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। এ কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ,যশোরের বড়বাজারে লুজ সয়াবিন তেলের দাম কমে এসে ১৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, গতকাল প্রতি কেজিতে ৪টাকা বেড়ে ১৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাম তেলে বেড়েছে ৬টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১২৪/১২৫টাকা প্রতি কেজি। সুপার তেলেও প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৬টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকায়। তেল বিক্রেতা রবি ব্যানার্জি জানান, বাজারে আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সরকারিভাবে কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধি করায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। লুজ দেশি চিনির দামও প্রতি কেজিতে ২টাকা বেড়েছে। ঈদের দু একদিন আগে থেকেই ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে। বাজারে খামারি অন্যান্য মুরগির দাম খুব একটা না বাড়লেও লেয়ার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল বড়বাজারে লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫০/২৬০ টাকা। যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছিল ২৩০/২৪০ টাকায়। মুরগি ব্যবসায়ী মিলন হোসেন জানান, ঈদের পর বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে লেয়ার মুরগির চাহিদা বাড়ায় এর দাম বেড়েছে। এদিকে বড়বাজার মাছ বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ২০ মে থেকে, চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। নদীতেও জেলেদের জালে ইলিশ উঠছে না। খুব সামান্য মাছ ধরা পড়ছে। বাজারে যৎসামান্য আসলেও দাম অনেক বেশি। গতকাল শুক্রবার বাজারে এক কেজি ওজনের কাঁচা ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২৪শ টাকায়। ৭শ/৮শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৮শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ৫শ/৬শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪শ টাকা। তবে কোল্ডস্টোরেজের ইলিশ ৭শ/৮শ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৮শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।