বিশ্বব্যাপী খনিগুলোর বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার কোটি ডলার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥অস্থিতিশীল পণ্যের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে রক্ষণশীল পদ্ধতি অনুসরণ করছে খনিসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। মূলত ২০১৫-১৬ সালের বাজারের অস্থির অবস্থার পর থেকেই এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতে শুরু করে তারা। বর্তমানে ব্যয় সংকোচন, উৎপাদন ও তারল্য সম্প্রসারণের দিকে নজর দিচ্ছে সংস্থাগুলো। সম্প্রতি বন্ড ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি মুডি’সের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়। খবর মাইনিংডটকম।
মুডি’স জানায়, পাঁচ বছরের মন্দা অবস্থা কাটানোর পর খনি খাতের ১৩০টি ইস্যু প্রতিষ্ঠানের আয়ে উন্নতি দেখা দিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিগুলোর ইবিআইটিডিএ দাঁড়িয়েছে মোট ২৩ হাজার কোটি ডলারে, যা জ্বালানি ও ওষুধ খাতের পর এটিকে তৃতীয় বৃহত্তম খাতে পরিণত করেছে। বর্তমানে মাইনিং খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার কোটি ডলার। তবে ২০১৫ সাল থেকে এ খাতে ঋণ ও আয়ের অনুপাত ক্রমান্বয়ে কমছে।এমন অবস্থায় বড় খনি সংস্থাগুলো ঝুঁকি প্রশমনের কৌশল অবলম্বন করায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারছে। এরই অংশ হিসেবে বড় বড় প্রকল্পে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ, লভ্যাংশ নির্ধারণ, দায় ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় মূলধন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঠামোবদ্ধ পন্থা অবলম্বন করছে তারা।
কার্বন নিঃসরণ খনি শিল্পকে লাভবান করছে জানিয়ে মুডি’স বলছে, এর বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত এ শিল্প হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম।