ভারতে স্বর্ণের চাহিদা আড়াই দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥২০২০ সালে ভারতে স্বর্ণের চাহিদা ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪৪৬ দশমিক ৪ টনে পৌঁছেছে। ১৯৯৪ সালের পর চাহিদার ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে বড় হ্রাস। এমনকি ভারতে স্বর্ণের চাহিদা বৈশ্বিক চাহিদার চেয়েও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বৈশ্বিকভাবে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে ২৮ শতাংশ। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গত বছরের স্বর্ণ বাজারের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। খবর ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
স্বর্ণের চাহিদায় এ হ্রাসের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। পাশাপাশি মূল্যবান ধাতুর দাম হ্রাস পাওয়াও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে কেবল চাহিদায়ই নয়, দেশটির সরবরাহ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে ২০২১ সালে স্বর্ণের বাজার আবারো ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মানুষের দমিত চাহিদা ও উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দাম বাড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে ঘরোয়া বাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড স্তরে হ্রাস পেয়েছে। ফলে মূল্যের হিসাবে ২০২০ সালে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ৮৮ লাখ কোটি রুপি। তবে বছরের শেষ প্রান্তিকে গিয়ে চাহিদা বাড়তে থাকে এবং বাজারও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ডব্লিউজিসির পরিসংখ্যান অনুসারে, ডিসেম্বরে আগের বছরের একই সময় তুলনায় চাহিদা ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ডব্লিউজিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারত) সোমাসুন্দ্রম পিআর বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়া এবং স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টা ফিরে আসার সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে আগের বছরে একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। মূলত দমিত চাহিদা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে বৃদ্ধি দেখা গেছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি চলতি বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তার মতে, উৎসবের মৌসুমে এবং আসন্ন বিবাহের মৌসুম নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। বিশেষত অক্টোবর-ডিসেম্বরে গিয়ে হয়তো ভালো অবস্থা দেখা যেতে পারে। যাকে স্বর্ণের জন্য বছরের ভালো সময় বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া বিনিয়োগ চাহিদাও উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীলতা দেখিয়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে।