মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে আজ বিদায় নিচ্ছে পৌষ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌষের শেষদিন আজ। কাল থেকে শুরু হচ্ছে মাঘ মাস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বিদায় নিচ্ছে পৌষ। এ অবস্থা আরো দু’একদিন চলবে। যশোরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারি ৭ তারিখে শীত মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। এ ধারাবাহিকতা ছিল ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেদিনও তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ, গত মঙ্গলবার থেকে হঠাৎই তাপমাত্রা কমতে শুরু করে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন একপ্রকার গরমের পর মঙ্গলবার রাত থেকে আবারো ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। ভরা পৌষ মাসেও শীত ছিল না বলে মানুষের মাঝে যে আক্ষেপ হচ্ছিল মঙ্গল-বুধবার তা থেকে ছিল ভিন্ন। গতকাল যশোর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরো দুই একদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে যশোর বিমানবাহিনীস্থ আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, মঙ্গলবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার যশোরের তাপমাত্রা ১২-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে। এ সময় সকালে আরো দু’একদিন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ অবস্থাকে আবহাওয়া অফিস মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে অবিহিত করছে। এদিকে, বিগত ৫-৭ দিন যশোরে শীত ছিল না বললেই চলে। শহরের বেশ কয়েকজন বয়সী লোক জানিয়েছেন, পৌষ মাসে এমন গরম এর আগে কখনো দেখেননি। তালবাড়িয়ার কৃষক আয়ুব হোসেন জানান, এতকাল শুনেছি পৌষের জাড় মোষের (মহিষ) গায় মাঘের জাড় বাঘের গায়’ কিন্তু এবার দেখছি জাগ না গরম পড়ছে। বাহাদুরপুরের আব্দুল আলীম জানান, এ বছর শীত ১৫ দিনও ঠিকমতো পড়লো না। গরম কাপড় কিনেও পরতে পারছেন না। উপশহরের বাসিন্দা মমতাজ জানান, শীতকালে শীত না লাগলে ভালো লাগে? আরেক বাসিন্দা সুমাইয়া বলেন, এবার বেশি ঠাণ্ডা পড়ছে না, গরিব মানুষের কষ্ট কম হচ্ছে। তবে চুড়ামনকাটি এলাকার রাসেল বলেন, শীতকাল শীত না থাকলে শীতের ফসল ভালো হয় না। তবে হঠাৎ করে গত দুইদিন শীত পড়ায় আবহাওয়ার বৈরি আচরণ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। তাদের মতে মাঘের শেষ পর্যন্ত হলেও কিছুটা শীতের পরিবেশ থাকা দরকার।
এদিকে, হঠাৎ করে গত দুইদিন শীত বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের দোকানে বেচাকেনা বেড়েছে বলে জানান কয়েকজন দোকানী। তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী আগামী দু’একদিন এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে। তারপর আবারো তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বুধবার রাত ৮টার দিকে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা ধীরে ধীরে কমে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ১৩ ডিগ্রি নিচে নামতে পারে। চলতি মাসে সহসা কোন শৈত্যপ্রবাহ বা তীব্র শীতের প্রভাব হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গতকাল বুধবার সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন ও হাল্কা বাতাসের প্রবাহ ছিল। বাতাসের সাথে শীতের প্রভাবও ছিল। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাহবুবুর রহমান জানান, সাধারণত এই শীতে শিশুদের শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পায়। তবে শীতের মাঝে মাঝে গরম পরিবেশ সাধারণত মানুষের শরীরে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে, শিশু, বৃদ্ধদেরকে আরো সতর্কতাবস্থায় রাখা উচিত।