খেলার খবর

0

হোয়াইটওয়াশ এড়াল ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক॥ অস্ট্রেলিয়ার বিপে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। ১৩ রানের জয়ে সফরকারীরা হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে। বুধবার ক্যানবেরার মানুকা ওভালে ৩০৩ রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই ২৮৯ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে সিডনিতে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আগেই নিজেদের করেছিল। ভারত শেষ ম্যাচ জিতে ব্যবধানটা ২-১ করল। ভারতের জয়ের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ভারতকে টেনেছেন এই দুজন। গড়েছেন রেকর্ড জুটি। দলীয় ১৫২ রানে বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন জাদেজা। পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে পান্ডিয়া-জাদেজা ১৫০ রান যোগ করেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপে ষষ্ঠ উইকেটে কোনো ভারতীয় জুটির এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের রেকর্ড ছিল রমেশ ও রবিন সিংয়ের ১২৩ রানের। ১৯৯৯ সালে কলম্বোয় এই রেকর্ড গড়েছিলেন দুজন। ক্যানবেরায় নতুন নজির গড়েন জাদেজা-পান্ডিয়া। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে ষষ্ঠ বা তারও বেশি উইকেটের জুটিতে এটাই এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। জাদেজা ৫০ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। পান্ডিয়া অপরাজিত থাকেন ৭৬ বলে ৯২ রান করে। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৭৮ বলে ৬৩ রান। জবাব দিতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের কেউ বড় রান পাননি। অধিনায়ক ফিঞ্চ ৮২ বলে ৭৫ রান করেন। সাত নম্বরে নেমে ম্যাক্সওয়েল ৩৮ বলে ৫৯ রান করেন। ভারতের পে শার্দুল ঠাকুর সর্বাধিক ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও অভিষিক্ত টি নটরাজন। ম্যাচসেরা হয়েছেন পান্ডিয়া। একই ভেন্যুতে শুক্রবার থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরে রয়েছে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।

অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ঢাকা
স্পোর্টস ডেস্ক॥ টানা তিন হারে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু করা বেক্সিমকো ঢাকা অবশেষে জয়ের মুখ দেখল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে কাঙ্তি জয় তুলে নিল মুশফিকুর রহিমের ঢাকা। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় ঢাকা। লো স্কোরিং ম্যাচটিতে ১০৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে জয় নিশ্চিত হয় ঢাকার। দলীয় ৭ রানে ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি (২) ও ২৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ নাঈম (১৩) বিদায় নেন। দুজনই হয়েছেন রান আউট। তানজিদ হাসান তামিম ২০ বলে ২২ রান করে ফিরে যান। ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অবশ্য আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি। চতুর্থ উইকেটে দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে জয় নিশ্চিত করেন। ইয়াসির ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৪ রান করেন। মুশফিক ৩৪ বলে ১ চারে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে রবিউল ইসলাম রবির বোলিং তোপে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা বরিশাল ৮ উইকেটে ১০৮ রানে আটকে যায়। তামিম ইকবাল ৩১ বলে ৩১ রান করেন। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৩৩ রান। ঢাকার পে রবি ৪ ওভার বল করে ২০ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। শফিকুল ইসলাম নিয়েছেন ২ উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন রবি। পয়েন্ট টেবিলে অবশ্য সবচেয়ে নিচে বরিশাল ও ঢাকা। দুই দলই ৪ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ১টিতে। রানরেট কিছুটা ভালো থাকায় ২ পয়েন্ট নিয়ে বরিশাল আছে চার নম্বরে। আর ঢাকা সমান পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে।

গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ আয়াক্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে উঠেছে লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন কার্টিস জোন্স। প্রথম তিন ম্যাচে জয়ের পর গত রাউন্ডে আতালান্তার বিপে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে তাদের পয়েন্ট হলো ১২। দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া আয়াক্স ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে গেছে। প্রথমার্ধে বল দখলে আধিপত্য করা আয়াক্স প্রথম ভালো সুযোগ পায় ২১তম মিনিটে। তবে ডাভি কাসেনের হেড দৃঢ়তায় রুখে দেন গোলরক কুইভিন কেলেহার। ৩২তম মিনিটে আবারও তার নৈপুণ্যে রা পায় লিভারপুল। প্রায় ২৮ গজ দূর থেকে ডাচ মিডফিল্ডার নুসায়ার মাজরাউয়ির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান লিভারপুলের যুব দল থেকে উঠে আসা আইরিশ গোলরক। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে প্রথমে কেলেহারের নৈপুণ্যে এবং পরে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় লিভারপুল। আন্তোনির শট গোলরক ঠেকিয়ে দেওয়ার পর আলগা বল পেয়ে পোস্টে মারেন দাভিদ নেরেস। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮তম মিনিটে দুই খেলোয়াড়ের বোঝাপড়ায় এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডান দিক থেকে নেকো উইলিয়ামসের ক্রসে দূরের পোস্টের পাশ থেকে টোকায় ফাঁকা জালে বল পাঠান জোন্স। গোলটির পেছনে যথেষ্ট দায় ছিল আয়াক্স গোলরকের; বলের গতি-প্রকৃতি বুঝতে না পেরে গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দুই মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েও হারান রবের্তো ফিরমিনো ও মোহামেদ সালাহ। দুজনই গোলরককে একা পেয়েছিলেন, তাদের রুখে দেন আন্ড্রে ওনানা।

পদত্যাগ ‘করবেন না’ জিদান
স্পোর্টস ডেস্ক॥ চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্কর কাছে ২-০ গোলে হেরে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদান বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। এই হারের পর টুর্নামেন্টে টিকে থাকা কঠিন হবে রিয়ালের জন্য। জিদান ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করব না। কাজ চালিয়ে যাব।’ প্রথম লেগে শাখতারের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল জিদানের দল। ফিরতি লড়াইয়ে অনেকটা পাত্তাই পায়নি তারা। এদিন গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে আক্রমণে ভুগছিল ইউরোপের সফলতম দলটি। ৫৭তম মিনিটে গোল হজম করে তারা। প্রতি-আক্রমণে সতীর্থের উদ্দেশে কোভালেঙ্কোর বাড়ানো বলে তেমন কোনো হুমকি ছিল না; কিন্তু ডি-বক্সের মুখ থেকে সেই বল ঠেকিয়ে ভারানেকে দিতে গিয়ে ঠিকমতো পারেননি ফেরলঁদ মঁদি। ডি-বক্সে বল ধরে নিচু শটে জালে জড়ান দেতিনিয়ো। এগিয়ে গিয়ে যেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে গত দুই রাউন্ডে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপে ১০ গোল খাওয়া শাখতার। অল্প সময়ের মাঝে কয়েকবার রিয়ালের রণে ভীতি ছড়ায় তারা। এরই ধারাবাহিতায় ৮২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই জোরালো শটে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ইসরায়েলের মিডফিল্ডার মানোর সলোমোন। চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে ৫ ম্যাচে এটি রিয়ালের জালে নবম গোল। নিজেদের ইতিহাসে আর কখনও এতো গোল হজম করতে হয়নি তাদের। দলটি সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে। এই হারে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে নেমে গেছে রিয়াল। পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭। সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে শাখতার দোনেৎস্ক। শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে রিয়াল-বরুশিয়া ও ইন্টার-শাখতার। প্রতিটি দলেরই সুযোগ আছে পরের রাউন্ডে ওঠার।

স্বপ্না-শামসুন্নাহারসহ ৪ নারী ফুটবলার করোনা আক্রান্ত
স্পোর্টস ডেস্ক॥ করোনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে দেশের ফুটবলে! জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে সদ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৫ দিনের ধকল শেষে। ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও কয়েকজন কর্মকারীও আক্রান্ত। জানা গেছে বাফুফে ভবনের চার তলায় আবাসিক ক্যাম্পে থাকা নারী ফুটবলারদের ৪জনও কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। আক্রান্ত খেলোয়াড়রা হলেন- জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না, শামসুন্নাহার জুনিয়র, আনাই মোগিনি ও রেহেনা আক্তার। তাদের সবাই বাফুফে ভবনেই আইসোলেশনে আছেন। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে এই ফুটবলাররা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবারও তাদের করোনা পরীা হয়েছে। বাফুফে ক্যাম্পে এই মুহূর্তে ৩৫ জন খেলোয়াড় আছেন। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন অন্য মেয়েরা ঝুঁকিমুক্তই আছেন। আক্রান্তদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওদেরকে (করোনা আক্রান্ত) যথাযথভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ডাক্তারের নিয়মিত পর্যবেণের মধ্যে আছে তারা। উপসর্গ নেই বলেই ওদের হাসপাতালে পাঠানো হয়নি।’ ক্যাম্পে থাকা দুজন বাদে সবাই চলমান মেয়েদের লিগে খেলছেন। বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখানো মেয়েরা কাবের ক্যাম্পেই রয়েছেন। অন্যরা বাফুফের ক্যাম্পে থেকেই নিজ নিজ কাবের হয়ে খেলছেন।

১৯১ রানের পুঁজি নিয়েও হেরে গেল দণি আফ্রিকা
স্পোর্টস ডেস্ক॥ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৯১ রানের পুঁজি গড়েও শেষ রা হলো না দণি আফ্রিকার। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপে হতে হলো হোয়াইটওয়াশ। মঙ্গলবার কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ডেভিড মালান ও জস বাটলারের ১৬৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় ইংলিশরা। ১৯২ রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। জেসন রয় ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৬ রান করে। এরপর মালান ও বাটলার মিলে তাণ্ডব চালান প্রোটিয়া বোলারদের ওপর। দুজনে মিলে মেরেছেন ১৪ চার ও ১০ ছক্কা। তাতে ১৪ বল হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ইংলিশদের। মালান ৪৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বাটলার ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। ৩ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কায় হাঁকান এই উইকেটরক ব্যাটার। এর আগে ভন ডার ডুসেন অপরাজিত ৭৪, ফ্যাফ ডু প্লেসিসের অপরাজিত ৫০ রানে ৩ উইকেটে ১৯১ রানের পুঁজি গড়েছিল প্রোটিয়ারা। ৬৪ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ডুসেন ও ডু প্লেসিস মিলে ৬৪ বলে যোগ করেন ১২৭ রান। ম্যাচসেরা ও সিরিজ হয়েছেন ইংল্যান্ডের মালান। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫ উইকেটে ও দ্বিতীয় ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড। শুক্রবার একই ভেন্যুতে শুরু হবে দুই দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে বিসিবিকে যে প্রস্তাব দিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ শ্রীলঙ্কায় দেওয়া কোয়ারেন্টিনের কঠিন শর্ত মানেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিবিসি)। তাই স্থগিত হয়ে যায় সফরটি। তবে কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সমস্যা হবে না বিসিবির। ক্যারিবিয়ান বোর্ডের প্রতিনিধি দলের মন্তব্যে এমনই আভাস। করোনাকালে আন্তর্জাতিক সফরগুলো যেভাবে হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশ সফর করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ দিনের কোয়ারেন্টিনে তিন দিন বাধ্যতামূলক হোটেলবন্দী এবং বাকি চার দিন অনুশীলন। গত শনিবার ঢাকায় এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর্যবেক দলের দুই সদস্য ড. আকশাই মানসিং ও পল স্লোওয়ে। বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে তারা রিপোর্ট জমা দেবেন। এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। বুধবার সংবাদমাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানানোর পাশাপাশি কোয়ারেন্টিন ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন তারা। কবে নাগাদ সফর হতে পারে, এমন প্রশ্নে কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি সামনে আনলেন আকশাই, ‘তারিখ এখনও নির্দিষ্ট নয়। কারণ কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী, কমপে ৭ দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যেন বাংলাদেশকে আক্রান্ত না করি। সুতরাং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা কোয়ারেন্টিনে থাকি।’ এই ৭ দিন কীভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকবে, পর্যবেক দলের এই সদস্য সেটিও জানালেন, ‘প্রথম তিন দিনের জন্য আমরা ইন-রুম কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেবো। প্রথম (করোনা) টেস্টটি হবে পৌঁছানোর পর। তিন দিনের পর আমরা আরেকবার টেস্ট করাবো। সেটিতে নেগেটিভ আসলে আমরা আমাদের স্কোয়াডের ভেতর প্র্যাকটিস করতে চাই। ৭ দিন পার হওয়ার আগে বাইরের কারও সামনে আসতে চাই না। আমরা বন্দী হয়ে অনুশীলন করবো ততদিন, ৭ দিনের পর আমরা বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে নেট সেশন করতে পারবো।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘কেবল ৭ দিনের ব্যাপারই নয়। আমাদের তিনটি নেগেটিভ ফল আসতে হবে। বাংলাদেশে আসার আগে একটি নেগেটিভ টেস্ট হতে হবে। সেজন্যই একদম নিশ্চিত তারিখ বলা যাচ্ছে না কবে থেকে সিরিজ শুরু হবে। সবকিছুই নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।’