কলারোয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত শিশুদের হাম ও রুবেলা টিকাদান অনিশ্চিত

0

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ ‘ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কলারোয়া উপজেলার হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট ও হেলথ ইনসপ্ক্টের অ্যাসোসিয়েশন টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মবিরতির কারণে উপজেলায় কয়েক হাজার শিশুর হাম রুবেলা টিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ৪৮ জন হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও হেলথ ইনসপেক্টর রয়েছেন। তারা মানব দেহে টিকা দিয়ে থাকেন, কিন্তু তাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেয়া হয়নি। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের আশ্বাস দেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে গত ২২ বছরেও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধন করা হয়নি। টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি আন্দোলনের ডাক দেয় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় কলারোয়ায় উপজেলার ৪৮ জন স্বাস্থ্য সহকারী শিশুর হাম রুবেলা টিকাদান প্রশিণে অংশ নেননি। শনিবার তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করছেন। তাদের দাবি মানা না হলে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। এতে করে কলারোয়া উপজেলায় কয়েক হাজার শিশুর হাম রুবেলা টিকাদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কলারোয়া উপজেলা হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন. কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। দাবি মানা না পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হাম রুবেলা টিকা দান কর্মসূচিতে উপজেলার কোনো স্বাস্থ্য সহকারী অংশ নিবেন না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আবু আজাদ, শাহাদৎ হোসেন, সদস্য সচিব আবুল বাশার, সদস্য সেলিমুজ্জামান, আবুল কাশেম, ইকরামুল কবির, মিজানুর রহমান, খোদেজা খাতুন, আব্দুল জলিল, উপদেষ্টা নুর মোহাম্মাদ, গোলাম সরোয়ার, বিকাল কুমার ঘোষ প্রমুখ।