খেলার খবর

0

স্মিথের সেঞ্চুরিতে ভারতকে হারিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ভারতের বিপক্ষে যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন স্টিভেন স্মিথ। টানা পাঁচ ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস, শেষ তিনটিতে সেঞ্চুরি। তার বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে আবারও রান পাহাড় গড়ার পর বোলারদের মিলিত অবদানে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫১ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩৮৯ রান করে স্বাগতিকরা। ভারতের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে গড়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। সিরিজ শুরুর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের ৩৫৯ ছিল ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। প্রথম ওয়ানডেতে সেটি ছাড়িয়ে করে ৬ উইকেটে ৩৭৪ রান। এবার এটাও পেছনে পড়ে গেল। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে ৯ উইকেটে ৩৩৮ রান পর্যন্ত করতে পারে ভারত। আগের ম্যাচে ৬২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মিথ, যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় দ্রুততম। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ৬২ বলে, জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। শুধু তার ইনিংস নয়, মোটা দাগে দুই ম্যাচে খেলা হয়েছে প্রায় একই রকম। নিজেদের ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো এদিন ফিফটি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান। শতরানের জুটিতে স্বাগতিকদের ভিত গড়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। শুরুর জুটিতে অগ্রণী ছিলেন ওয়ার্নার, আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফিঞ্চ দিয়ে যাচ্ছিলেন সঙ্গ। স্বাগতিক অধিনায়ককে ফিরিয়ে ১৩৮ বলে গড়া ১৪২ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ শামি। ৬৯ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ফিঞ্চ করেন ৬০। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল তারই স্ট্রাইক রেট একশর নিচে। ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়ে থামেন ওয়ার্নার। ৭৭ বলে এই বাঁহাতি ওপেনার তিন ছক্কা ও সাত চারে করেন ৮৩ রান। কাছাকাছি সময়ে দুই ওপেনারের ফিরে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। আগের ম্যাচে দ্রুত ফেরা মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে স্মিথের জুটিতেও রান আসতে থাকে দ্রুত। বলে বলে রান করে এগোচ্ছিলেন লাবুশেন, স্মিথ ছিলেন আগ্রাসী।
৩৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন স্মিথ, ৪৬ বলে লাবুশেন। ৬২ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফিরে যান স্মিথ। ভাঙে ৯৫ বল স্থায়ী ১৩৬ রানের জুটি। স্মিথের ৬৪ বলে খেলা ১০৪ রানের ইনিংসে ১৪টি চারের পাশে দুটি ছক্কা। ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার শেষের খুনে ব্যাটিংয়েই চারশ রানের কাছাকাছি যায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ। ৬১ বলে পাঁচ চারে ৭০ রান করা লাবুশেনকে ফিরিয়ে ঝড়ের বেগে এগোনো জুটি ভাঙেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ২৯ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। রান তাড়ায় আক্রমণাত্মক শুরু করে ভারত। শুরু থেকে শট খেলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শিখর ধাওয়ান। তবে দুই ওপেনারের কেউ পারেননি ইনিংস বড় করতে। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে কোহলির ৯৩ রানের জুটিতে এগিয়ে যায় ভারত। আগের ম্যাচে সুযোগ হাতছাড়া করা কোহলি খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে, বাউন্সারের ফাঁদ এড়িয়ে আইয়ারও দিচ্ছিলেন দারুণ সঙ্গ। মিড উইকেটে স্মিথের চমৎকার ক্যাচে ভাঙে জুটি। ইতি ঘটে আইয়ারের সম্ভাবনাময় ইনিংসের। পরের উইকেটেও পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পায় ভারত। এক প্রান্তে আস্থার সঙ্গে খেলছিলেন রাহুল, আরেক প্রান্তে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোহলি।
জশ হেইজেলউডকে পুল করতে গিয়ে ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। মিডউইকেটে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে বিদায় করেন মোইজেস হেনরিকস। ৮৭ বলে খেলা কোহলির ৮৯ রানের ইনিংস সাজানো ৭ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ ১০ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৩০ রান। টি-টোয়েন্টিতেও এই সমীকরণ মেলানো ভীষণ কঠিন। চেষ্টায় ছিলেন রাহুল। বেশ কিছু বড় শটও খেলেছিলেন। অতি আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টাতেই শেষ হয় তার ইনিংস। ৬৬ বলে পাঁচ ছক্কা ও চারটি চারে এই কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ৭৬ রান। ব্যবধান কমিয়ে আনছিলেন দুই অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়া। পরপর দুই বলে তাদের বিদায় করেন প্যাট কামিন্স। এরপর বেশিদূর এগোয়নি ভারতের ইনিংস। আগামী বুধবার ক্যানবেরায় হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

এখনও মিরাজের প্রেরণা এশিয়া কাপের ফাইনাল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ প্রথম ম্যাচে শূন্য, পরের ম্যাচে ১। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে মেহেদী হাসান মিরাজের এই হলো প্রাপ্তি। ব্যাটিং ওপেন করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ফরচুন বরিশালের অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। তবে ভালো করার আশা ছাড়ছেন না মিরাজ। তার প্রেরণা সেই ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালের ব্যাটিং। ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে সেই ম্যাচে চমক উপহার দিয়ে মিরাজকে ওপেন করিয়েছিল বাংলাদেশ। দারুণ কাজে লেগেছিল সেই ফাটকা। লিটন দাসের সঙ্গে ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন তিনি। এরপর গত বিপিএলেও খুলনা টাইগার্সের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে দেখা গেছে মিরাজকে। কয়েকটি ম্যাচে দারুণ পারফর্মও করেন। গোটা আসরে রান করেছিলেন ৩২.২২ গড়ে ও ১৩০.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ২৯০। সেসব থেকেই প্রেরণা পাচ্ছেন মিরাজ। দলের অনুশীলনের ফাঁকে রোববার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যে তার ভরসা আছে। “আমি তো কম-বেশি ব্যাটিং করতে পারি। সেখান থেকেই বিশ্বাস এসেছে। সবচেয়ে বড় বিশ্বাস এসেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। এরপর থেকে আমার নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। আমি নিজেকেও বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করছি যে, হয়তো ওপরে ব্যাটিং করতে পারব।” “এশিয়া কাপের পর তো গত বছর ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও ওপেন করেছি, এই বছরও করেছি। কিন্তু ওই ম্যাচের (এশিয়া কাপ ফাইনাল) পর থেকেই আত্মবিশ্বাসটা গড়ে উঠেছে।” চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে চার ছক্কা হজম করেছিলেন মিরাজ, জয়ের কিনারা থেকে হেরেছিল দল। পরের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি, চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এবার তার চাওয়া, ব্যাট হাতেও নিজেকে ফিরে পাওয়া। “ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারছি না, কিন্তু সবসময় কথা বলছি। কোচের সঙ্গে কথা বলছি, তামিম ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলছি। আমার জন্য বড় একটা সুযোগ যে তামিম ভাইয়ের সঙ্গে ওপেনিং করছি। দুইটা ম্যাচে হয়তো ক্লিক করতে পারিনি, কিন্তু চেষ্টা করছি আরেকটু পরিপূর্ণভাবে খেলার। কীভাবে করলে ভালো হবেৃনতুন বলে ব্যাটিং করার অভ্যাসটা ছিল, কিন্তু অনেকদিন ওইরকম করা হয়নিৃঅনুশীলনে চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব করার।”

চোটে ছিটকে গেলেন মুমিনুল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠে মাঠে নামতে না নামতেই মুমিনুল হকের জন্য আরেকটি ধাক্কা। আঙুলের চোটে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে ছিটকে গেছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। জেমকন খুলনার বিপক্ষে শনিবার ফিল্ডিংয়ের সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান মুমিনুল। দলের ৯ উইকেটের জয়ে পরে অবশ্য ব্যাটিং করেন তিনি। তবে এরপর বেড়ে যায় ব্যথা। নিজের দুর্ভাগ্যের কথা জানালেন মুমিনুল নিজেই। “স্ক্যান করিয়েছি, চিড় ধরা পড়েছে। দেবাশীষ দা (বিসিবির প্রধান চিকিৎসক) দেখেছেন। উনি বলেছেন, তিন থেকে চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। আগামীকাল আবার ডাক্তার দেখাব।” বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল ১৮ ডিসেম্বর। মুমিনুলের জন্য এই আসর তাই শেষ বলেই ধরে নেওয়া যায়। টুর্নামেন্টে চট্টগ্রামের ৯ উইকেটের দুই জয়ে ৮ ও ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল।

ফিলিপসের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে বিধ্বস্ত উইন্ডিজ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ টি-টোয়েন্টিতে চারে নেমে সেঞ্চুরি এমনিতেই কঠিন। পাওয়ার প্লের পর নেমে সেঞ্চুরি তো আরও কঠিন। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেটিই করে দেখালেন গ্লেন ফিলিপস। তার রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি ও ডেভন কনওয়ের সঙ্গে রেকর্ড জুটিতে বিধ্বস্ত হলো ক্যারিবিয়ান বোলিং। সিরিজ জিতল নিউ জিল্যান্ড। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফিলিপস খেলেন ৫১ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাউন্ট মঙ্গানুইতে রোববার সিরিজের কিউইদের জয় ৭২ রানের। বে ওভালে ২০ ওভারে ২৩৮ রানের পাহাড় গড়ে নিউ জিল্যান্ড। ক্যারিবিয়ানরা থমকে যায় ১৬৬ রানে। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিই জিতে কিউইরা জিতে নিল সিরিজ। ফিলিপস সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৪৬ বলে। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে আগের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল কলিন মানরোর। ২০১৮ সালে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে এই মাঠেই, ৪৭ বলে। তৃতীয় উইকেটে কনওয়ের সঙ্গে ফিলিপসের জুটি ১৮৪ রানের। তৃতীয় উইকেটে যা বিশ্বরেকর্ড, নিউ জিল্যান্ডের হয়ে যে কোনো জুটিতেই রেকর্ড। রেকর্ড আছে আরও। পাওয়ার প্লের পর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি রান ফিলিপসের এই ১০৮। আগের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ডেভিড মিলারের ১০১। বৃষ্টিতে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামে টস হেরে। মার্টিন গাপটিল ও টিম সাইফার্ট উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৪৯ রান। সাইফার্ট বিদায় নেন ১৩ বলে ১৮ রান করে। সপ্তম ওভারে গাপটিল ২৩ বলে ৩৪ করে আউট হলে উইকেটে যান ফিলিপস। শুরুতে উইকেট একটু মন্থর ছিল। ফিলিপস ও কনওয়ে খানিকটা সময় নেন। ১০ ওভার শেষে দুজনেরই রান ছিল ১৫। এরপর ব্যাটিং তাণ্ডব চালানোর পালা। ১৩.২ ওভারের পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। বৃষ্টির পর উইকেটে বল আসতে থাকে একটু দ্রুত। ফিলিপস ও কনওয়ে সেটি কাজে লাগিয়ে বল আছড়ে ফেলেন মাঠের নানা প্রান্তে। বৃষ্টির পর ৬.৪ ওভারে রান আসে ৯৮! ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে টানা তিনটি ছক্কা মারেন ফিলিপস, শেলডন কটরেলের ওভারে মারেন তিন চার, এক ছক্কা। কিমো পলকে এক ওভারে দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন কনওয়ে। ১৯তম ওভারে সেঞ্চুরি স্পর্শ করে বাঁধনহারা উল্লাসে মাতেন ফিলিপস। ১০ চার ও ৮ ছক্কার ইনিংস খেলে ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান আউট হন শেষ ওভারে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা কনওয়ে অপরাজিত থেকে যান ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ বলে ৬৫ করে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিউ জিল্যান্ডে এসে থিতু হওয়া এই ক্রিকেটার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন ২৯ বলে ৪১। শেষ ১০ ওভারে নিউ জিল্যান্ড তোলে ১৫৪ রান, টি-টোয়েন্টিতে তাদের যা সর্বোচ্চ। সব দেশ মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ। রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই হারায় ব্র্যান্ডন কিংকে। ব্যাটসম্যানদের কয়েকজন উইকেটে গিয়ে গোটা দুই চার-ছক্কা মেরেই বিদায় নেন। ৩০ রানও ছুঁতে পারেননি কেউ। ২ ছক্কায় আন্দ্রে ফ্লেচার করেন ১৪ বলে ২০। অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্সের পরিসংখ্যানও হুবুহু এক। শিমরন হেটমায়ার ২৫ রান করতে খেলেন ৩২ বল। মিচেল স্যান্টনারকে টানা চারটি ছক্বা মেরে ওই ওভারেই বিদায় নেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। শেষ দিকে ৩ ছক্কায় ১৮ বলে ২৬ করেন কিমো পল। কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি, রান তাড়ায় জিততে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

খেলোয়াড়দের চোট নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ কাতার ম্যাচের আগে চোট হানা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে। ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা ও ইয়াসিন খান চোট পেয়েছেন। অবশ্য দুজনই দ্রুত সেরে উঠবেন বলে আশাবাদ জানিয়েছেন ফিজিও আন্দ্রে জুয়ান কার্লে। আগামী ৪ ডিসেম্বর কাতারের মাঠে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাছাইয়ের প্রথম লেগের ম্যাচে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল দল। মূল লড়াইয়ে নামার আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। দোহার আল আজিজিয়াহ বুটিক মাঠে গত বুধবার আর্মি ফুটবল দলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে এবং শনিবার লুসাইল স্পোর্টস ক্লাবের কাছে ১-০ গোলে হারে দল। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে সুশান্ত ও ইয়াসিনের চোট পাওয়ার কথা জানান ফিজিও। “সবাইকে ভালো দেখাচ্ছে। ছেলেরা ভালো অনুভব করছে। দলে কিছু চোট সমস্যা আছে। জীবন চোট কাটিয়ে ফিরেছে। সে ভালো করেছে দ্বিতীয় ম্যাচে। পেশিতে চোট পেয়েছে সুশান্ত, ইয়াসিনও চোট পেয়েছে। তাদের সেরে ওঠার জন্য সামনে কয়েকটা দিন আছে।“ বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় ইয়াসিনের ভ্রুতে দেখা গেছে ব্যান্ডেজ। এই ডিফেন্ডার পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে।” “দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচে আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দুটোতেই হেরেছি। দুটোই যেহেতু প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল, কোচ সবাইকে পরখ করে দেখেছে। সবার এখন ফিটনেসের অবস্থা মোটামুটি ভালো। গত ম্যাচে আমি (ভ্রুতে) একটু আঘাত পেয়েছি, চারটা সেলাই লেগেছে। সবাই দোয়া করবেন। যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ৪ তারিখের ম্যাচ খেলতে পারি।” “আজকে রিকভারি ছিল, তাই সবাই বিশ্রামে ছিল। কোনো অনুশীলন ছিল না। সবাই সুইমিং করেছে। কাল থেকে আবার পুরোদমে অনুশীলন শুরু করব কাতার ম্যাচের জন্য।”

ঝিনাইদহে আন্তঃউপজেলা ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে আন্তঃউপজেলা ভলিবল টুর্নামেন্ট। রবিবার বিকেলে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ঝিনাইদহের এসডিপিও বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদুত এম শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ-উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খান আব্দুল্লাহ আল মামুন। জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টুর্নামেন্টে ৬ উপজেলার ভলিবল দল অংশগ্রহণ করবে। উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি হয় ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকুপা উপজেলা দল।